সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

  ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

নদীর মাটিতে চলছে ইটভাটা

নদী থেকে মাটি উত্তোলণের নিষেধাজ্ঞা থাকলে তা মানছেন না সাতক্ষীরার বেতনা নদীর আশপাশে গড়ে উঠা ইট ভাটার মালিকরা। তাদের কেউ নদী ও পাশের বেড়িবাঁধ কাঁটছেন আবার কেউ ইট শুকানোর জন্য নদী ভরাট করছেন। এদিকে এসব নিয়ে বিপাকে আছেন নদী তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ।

সাতক্ষীরা সদরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খর¯্রােতা বেতনা নদী বর্তমানে খাল থেকেও ছোট। নব্যতা সংকটকে দায়ী করা হলেও এর সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এর আশেপাশে গড়া ওঠা ভাটার মালিকরা। বিনেরপোতার ভাটা মালিকরা যে যেখান থেকে পারছে নদীর মাটি কেঁটে নিচ্ছে। আবার চাতালে ইট কাঁটার জন্য মাটি রাখছে নদী দখল করেই।

জানা গেছে, বিনেরপোতা ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্বে নদীর দুই ধারে প্রত্যেকটি ভাটা মালিকই নদীর মাটি উত্তোলন ও শহর রক্ষা বাঁধ কাটার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। বেড়িবাঁধের পাশে প্রথমেই কামরান ব্রিকস। লিয়াকত নামের একজন নদীর মাটি উত্তোলন করেই চালাচ্ছেন এই ভাটাটি। ভাটার পাশে বেড়িবাঁধ কেটে রাস্তা তৈরি করেছেন তিনি। ইট শুকানোর চাতাল বানিয়েছেন নদী ভরাট করে।

এছাড়াও গোপিনাথপুরের বেড়ারডাঙ্গি কালভার্টের পাশ থেকে মাটি তুলছেন। সেখানে বেড়িবাঁধের বেশ কিছু অংশ কেটে নিয়েছেন। এর পরেই আছে এসবি ব্রিকস। এর মালিক আব্দুল কুদ্দুস। নদী ভরাট করে প্রায় ৫০ বিঘার মত জমি দখল করে নদীর গতি পথ পাল্টে দিয়েছেন তিনি।

তারপরে শাল্যে গ্রামে জনৈক ঠিকাদার নদীর গা ঘেঁষে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত মাটি বিক্রি করেছেন। নদীর অপর পাড়ের চিত্রও একই। এবিবি ভাটা মালিক শুকুর আলী নদীর বেড়িবাঁধ কেটেছেন। এছাড়া সরদার ব্রিকস, সুপার ব্রিকস মালিকদের বিরুদ্ধে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলণের অভিযোগ রয়েছে।

তবে নদী থেকে মাটি তোলার কারণ জানতে চাইলে ভাটা মালিক ও ম্যানেজার কেউই তা স্বীকার করেন নি। কারো কারো দাবি, সরকারি ইজারা (ডিসিআর) নিয়ে নদী থেকে মাটি তুলছেন তারা।

এমন অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিনা খাতুন বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে নদী থেকে মাটি উত্তোলণের সঙ্গে জড়িত ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close