মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

কুমিল্লা-৩

দলীয় মনোনয়ন পেতে আ.লীগে বাবা-ছেলে বিএনপিতে স্বামী-স্ত্রী

নির্বাচন ঘিরে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে জমে উঠছে রাজনীতির মাঠ। এ আসনে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন। আবার তার ছেলে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর একই দল থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। অপর দিকে একই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিক। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাবা-ছেলে এবং স্বামী-স্ত্রী। স্বজনদের এ দ্বৈরথ দেখতে ভোটাররা মুখিয়ে থাকলেও কেউ কেউ মনে করছেন, মনোনয়ন নিয়ে দলকে চাপে রাখতেই বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী বা স্বজনরা একই দল থেকে ফরম নিয়েছেন। তবে মুখে অবশ্য এটি স্বীকার করেননি কোনো স্বজনই। তারা প্রত্যেকেই বলছেন, নিজেকে যোগ্য মনে করেই মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেন, ‘বাবা মনোনয়ন পেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব। কোনো কারণে যদি তিনি নির্বাচন না করেন সে ক্ষেত্রে মনোনয়নের ব্যাপারে কঠোর থাকব আমি। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে চূড়ান্ত।’ তবে একই আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। একই দলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে আছেন তার স্ত্রী ড. শাহিদা রফিক। কিন্তু তারা দুজনই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নামতেও নিচ্ছেন প্রস্তুতি। তাদের বিশ্বাস, আসন্ন নির্বাচনে নিজ দলের হয়ে মনোনয়ন পাবেন তারাই।

এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৯১ ও ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। ওই সময় থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততাও বাড়িয়েছি। তাই আশা করছি এবার মনোনয়ন পাব। স্ত্রীও যদি দল থেকে মনোনয়ন পায় আমার বিশ্বাস, নিশ্চিতভাবে বিজয় আনতে পারব।’ তবে ভিন্নমত পোষণ করে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তিনি বলেন, ‘তরুণদের ওপর আস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে অথবা আমার ছেলেকে সুযোগ দেন তবে বিজয় উপহার দিতে পারব আমি। আমার বিপক্ষে যদি এ আসনে খালেদা জিয়াও নির্বাচন করেন, নিশ্চিতভাবে হারবেন তিনি। নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী ওরা চারজনই। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের ১৫ জন ও বিএনপি থেকে ছয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close