পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

পাইকগাছায় ছাদ বাগানে সফলতা

খুলনার পাইকগাছায় ছাদে বাগান করে সফল হয়েছেন শিক্ষক ললিতা নাথ। তিনি তার নিজ বসতবাড়ির দ্বিতল ভবনের ছাদে বিভিন্ন প্রকারের ফল, ঔষধি, সবজি ও ফুলের চাষ করেছেন। তার ছাদ বাগান দেখে এলাকার অনেকেই ছাদ বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষক ললিতা পাইকগাছা পৌর সদরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। স্বামী বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার।

জানা গেছে, চার বছর আগে পৌর সদরের বাতিখালী এলাকায় ললিতা তার পরিবারকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। বসবাসের শুরু থেকেই নিজ বসতবাড়ির আঙিনায় কিংবা আশপাশ তেমন জায়গা না থাকায় ছাদে বাগান করা শুরু করেন। বসতবাড়ির দ্বিতল ভবনের ছাদকে এখন তিনি জীবন্ত বাগানে পরিণত করেছেন। ছাদের কোথাও তিনি লাগিয়েছেন কমলা, মাল্টা, আপেল, কদবেল, বেদানা, লিচু, আমলকী, কাগুজি ও চায়না কাগুজিসহ বিভিন্ন প্রকার ফলের গাছ। কোথাও লাগিয়েছেন পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া, করল্লা, শসা, কাঁকরোল, কয়েক প্রজাতির মরিচসহ অনেক ধরনের সবজি। ললিতার বাগানে রয়েছে দোপাটি, রঙ্গন, জুঁই, হাসনাহেনা, গোলাপ, জবা, গাঁদা, রজনিগন্ধা, নীল অপারজিতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ। ছাদের কোনো অংশে আবার লাগিয়েছেন পাথরকুচি, কালমেঘা, তুলসী, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রক গাছসহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ। সবজি, ফল আর ফুলে ভরে গেছে ছাদের সব অংশ। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো ছাদ, নাকি সবুজ ফসলের মাঠ। সব ধরনের সবজি ও ফল কীটনাশক ব্যবহার না করেই শুধু জৈব সার ব্যবহার করে উৎপাদন করছেন শিক্ষক ললিতা নাথ। উৎপাদিত সবজি ও ফল নিজের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত ফল ও সবজি আত্মীয়স্বজনের মাঝে বণ্টন ও বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করেন ললিতা। ললিতা শিক্ষকতা ও স্কুলপড়–য়া দুই মেয়ের যতœ নেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় তিনি বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যবহার করেন।

শিক্ষক ললিতা নাথ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাগান করা আমার শখ। প্রতিদিন ভোর ৫টার দিকে এবং স্কুল থেকে ফিরে বিকেলে এক-দেড় ঘণ্টা করে বাগানের পরিচর্যার কাজ করি। গত ৩-৪ বছরের ব্যবধানে ছাদ ভরে গেছে সবজি ও ফলমূলে। ভবিষ্যতে ছাদে ড্রেনেজ সিস্টেম ও বাড়ির সামনে বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

উপজেলা কৃষি অফিসার এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, শিক্ষকতার পাশাপাশি ললিতা নাথের ন্যায় দেশের প্রত্যেক শিক্ষককে ছাদে বাগান করার মতো নানন্দিক পারিবারিক কাজকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এতে শিক্ষক ও তার পরিবারসহ সমাজ উপকৃত হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close