ওয়ালি মাহমুদ সুমন, নীলফামারী
আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কিশোরগঞ্জের কৃষক
আগাম জাতের ধান ঘরে তুলে এখন আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। কিছুদিন আগে আগাম জাতের চায়না ধান, ব্রি ধান-৭১, ব্রি ধান-৬৩ ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। ওই জমিতে এখন আগাম আলুর বীজ বুনছেন।
উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, আলু চাষে ব্যস্ততার চিত্র। বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক আলম হোসেন বলেন, বাজারে যার আলু যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি। তাই আগেভাগেই আলু আবাদ করছি। এবার আবহাওয়া অনুকূল। বীজের দাম কম। প্রয়োজনীয় সারের সরবরাহও স্বাভাবিক। তিনি এবার ১৪ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু রোপন করছেন বলে জানান।
তিনি আরো জানান, প্রতি বিঘা জমিতে আগামজাতের আলু রোপনে খরচ হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। বিঘায় আলু উৎপাদন হবে প্রায় আড়াই হাজার কেজি। আগাম আবাদে আগাম বাজার ধরতে পারলে আলুর কেজি বিক্রি হবে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। এতে বিঘাপ্রতি আলু বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ পাওয়া যাবে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। নিতাই ইউনিয়নের গাংবের গ্রামের আলু চাষী আবুল কালাম আজাদ জানান, আগাম জাতের আলু চাষ করে ভালো দাম পাওয়া যায়। তাছাড়া ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে এ আলু ক্ষেত থেকে তোলা যায় বলে কৃষকদের আলু চাষের আগ্রহ বেশি।
পানিয়ালপুকুর এলাকার আলু চাষী মোছারুল ইসলাম জানান, গতবার পাঁচ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করলেও এবার দ্বিগুণ করেছেন। গতবার ভালো দাম পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষি শ্রমিকরা। জিয়ারুল নামে এক কৃষি শ্রমিক জানান, আগে এ সময়টা কোন কাজ থাকতো না। এখন আগাম আলু চাষ হওয়ায় কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বেলাল নামের আরেক কৃষি শ্রমিক জানান, আগে বেকার থাকতে হতো আর এখন আলু ক্ষেতে কাজ করে প্রতিদিন আড়াই থেকে ৩০০ টাকা মজুরী পাওয়া যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, উপজেলায় এবার ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের চায়না ও উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা হয়েছে। এবার কৃষকরা আগাম জাতের আলু আবাদে নেমে পড়েছে। ৫০ থেকে ৫৫ দিনে এই আলু বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
"