রংপুর ও নেত্রকোনা প্রতিনিধি

  ০৭ অক্টোবর, ২০১৮

রংপুরে ধর্ষণ ও বারহাট্টায় স্কুলছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধধর্ষণ মামলার আসামি হামিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকালে নগরীর মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হামিদুল ওই এলাকার হায়দার আলীর ছেলে। গতকাল শনিবার সকালে তাকে জেলা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই স্কুল ছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৬জন মিলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষকদের হুমকি ও লোকলজ্জার ভয়ে হতদরিদ্র পরিবার ঘটনাটি চেপে রাখে। পরে ধর্ষিতা অসুস্থ হলে গত ২১ সেপ্টেম্বর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এ বিষয়ে মাহিগঞ্জ থানায় মেয়ের বাবা গণধর্ষণের একটি মামলা করেন।

এদিকে নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানায়, জেলার বারহাট্টার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র পিয়াস মিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নাজমুলকে (২৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার দুর্গম অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নাজমুল উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চল্লিশ কাহ্নীয়া হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র ও কর্ণপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে। সে পিয়াস মিয়া হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী। সিআইডি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে গত শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার দুর্গম অঞ্চলের জনৈক রফিক মিয়ার সোনালি ইটখলায় ক্রেতা সেজে অভিযান চালায় সিআইডি। অভিযানে নাজমুলকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা আনা হয়। উল্লেখ্য, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে পিয়াস মিয়া গত ২৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে স্থানীয় ফকিরের বাজার তেকে তারই বন্ধু পাশ^বর্তী কান্দাপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া তার বোনের গায়ে হলুদের কথা বলে ডেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কান্দাপাড়া গ্রামের স্থানীয় লোকজন পিয়াসকে অজ্ঞান অবস্থায় প্রথমে ফকিরের বাজারে পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close