লালমনিরহাট প্রতিনিধি

  ১২ মে, ২০১৮

মিষ্টিকুমড়ায় লালমনিরহাটের কৃষকদের ভাগ্যবদল

লালমনিরহাটে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দুই শতাধিক হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে। জেলার তিস্তা, সানিয়াজান ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে এই মিষ্টিকুমড়া চাষ হয়েছে। এতে বদলে গেছে শত শত কৃষকের অর্থনৈতিক অবস্থার।

জেলায় এ বছর রবি মৌসুমে ৭০ হেক্টর ও খরিফ-১ মৌসুমে ৩৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও তা ছাড়িয়ে প্রায় দুইশত হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষাবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি অধিদপ্তর।

লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তর ও স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, এ বছর জেলায় রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে যথাক্রমে মৌসুমে ৭০ ও ৩৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয। কিন্তু জেলায় এবার প্রায় দুইশত হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষাবাদ হয়েছে। ফলে জেলার দিগন্তজুড়ে মিষ্টি কুমড়া খেতের সমারোহের পাশাপাশি বাম্পার ফলনে কৃষকরা বেশ খুশি। এ অঞ্চলের ধান, ভুট্টা ও তামাক চাষের ওপর নির্ভরশীল কৃষকের জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ এনে দিয়েছে নতুন গতি। কৃষকদের জীবন-জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে কৃষির এই সফল পরিবর্তন। এ জেলায় উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রফতানি হচ্ছে। উর্বর বেলে-দোআঁশ মাটির কারণে জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন নদীর চর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম ধানের চেয়ে রবি শস্য ও সবজি আবাদ বেশি হচ্ছে। জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার চর ও সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপকভাবে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদিত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলার মিষ্টি কুমড়া ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে রবিশস্যের অন্যতম সবজি মিষ্টি কুমড়া। সদর উপজেলার রাজপুরের খবির উদ্দিন বলেন, ‘তিস্তা নদীতে আমার ঘর-বাড়িসহ সব তলিয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছিলাম। ঠিক সেই সময় পাশ^বর্তী কয়েক জনের কুমড়া চাষ দেখে আমিও তিস্তার চরে কুমড়া আবাদ করি। কুমড়ার ফলনও ভাল হয়েছে।’ ঠিকমত বাজার জাত করে বিক্রয় করতে পারলে কয়েকগুণ লাভবান হতে পারবেন বলে তিনি জানান।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, এ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে লাভবান হয়েছেন অনেক কৃষক।

লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষণ রায় প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, জেলার ৫টি উপজেলার চরাঞ্চগুলোতে অনেক জমি পতিত পড়ে থাকে। সেই জমিগুলোতে মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করে জেলার শত শত কৃষক তাদের পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। এসব কৃষকের সাফল্য দেখে আগামীতে আরও অনেক কৃষক কুমড়া চাষে আগ্রহী হবে বলে তিনি জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist