হাসান জাকির, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)

  ১৯ মার্চ, ২০১৮

কালীগঞ্জে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টা চাষ এবার তিনশ’ হেক্টর জমিতে আবাদ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাষীদের মাঝে ভুট্টা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে সাড়ে তিনশ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। আর লাভজনক ফসল হওয়ায় এতে যুক্ত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৫০ জন চাষী।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খরচ কম ও উৎপাদন বেশি হওয়ায় দিন দিন চাষীদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। এখন আর চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে হচ্ছে না। অনেক চাষী নিজ থেকে আগ্রহী হয়ে ভুট্টা চাষ শুরু করেছেন।

কালীগঞ্জ কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার সাহা জানান, ৩-৪ বছর আগে এ উপজেলায় ভুট্টা চাষীর সংখ্যা ছিল হাতে গুনা। সে সময় ৭০০ থেকে ৮০০ চাষী ভুট্টা চাষ করতো। গত মৌসুমে ভুট্টা চাষ হয়েছিল ১১০ হেক্টর জমিতে। আর চলতি মৌসুমে সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। যা গত মৌসুমের চেয়ে ২৪০ হেক্টর বেশি হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর, ত্রিলোচনপুর, দাদপুর, হাসানহাটি, সানবান্ধা, মস্তবাপুর ও ফরাসপুর গ্রামের মাঠগুলোতে বেশি ভুট্টার আবাদ হয়েছে বলে জানায় কৃষি অফিস। উপজেলার কালুখালী গ্রামের ভুট্টা চাষী শুকুর আলী জানান, চলতি মৌসুমে তিনি প্রায় ৫০ শতক জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। এতে সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ ও পরিচর্যা বাবদ তার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভাল হলে তিনি কমপক্ষে ৫০ মণ ভুট্টা পাবেন। তিনি আরো জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ ভুট্টা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ফরাসপুর গ্রামের ভুট্টা চাষী আক্তার, জহর, সামাদ, নুুরুল ইসলামসহ একাধিক চাষী জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষে ঝুঁকি কম। এতে রোগ-বালাই কম হয়। বপন থেকে শুরু করে ৫ মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে খরচ-খরচা বাদে প্রায় অর্ধেক লাভ থাকে।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহিদুল করিম বলেন, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও মহেশপুর এলাকায় ভুট্টার আবাদ বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু ইদানিং কালীগঞ্জ উপজেলায়ও ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে ২৮০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে সাড়ে তিনশ হেক্টর জমিতে।

তিনি আরো বলেন, ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়াতে ৫০০ জন চাষীকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এসব চাষীদের বিনামূল্যে ২ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ৩০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ভুট্টার উপর ৩০টি প্রদর্শণী প্লট করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist