মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
বন হারাচ্ছে বৈচিত্র্য : বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ
অরক্ষিত সাতছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চল
‘আমরা প্রকৃতিকে বাঁচাবো, আগামী প্রজন্মের জন্য’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রায় এক যুগ আগে নিসর্গ নাম দিয়ে ধ্বংস হয়ে পড়া সাতছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে রক্ষার জন্য বিদেশি অর্থে নেওয়া হয় নানা পদক্ষেপ। বনের আশপাশ এলাকার জনপ্রতিনিধি, কাঠুরিয়া ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকদের নিয়ে গঠন করা হয় সহব্যবস্থাপনা কমিটি। বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সাতছড়ি বনের কিছু অংশকে ঘোষণা করা হয় অভয়ারণ্য। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য এখানে মোটা অংকের টাকায় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মিত হয়। কিন্তু বনের ওপর মানুষের অত্যাচার থেমে নেই।
দিন যত যাচ্ছে বনও বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে এর স্বাভাবিক বৈচিত্র্য, বনের মধ্যে বসবাসকারি বিভিন্ন জীবজন্তু পোকামাকড় বিপন্ন হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, সহব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের পর এর কার্যক্রমে কিছুটা গতি এলেও গত কয়েক বছরে এর কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে। সহব্যবস্থাপনা কমিটির কিছু লোক বন থেকে গাছ পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বন কর্তৃপক্ষ মামলাও দায়ের করেছে। এর পরেও বন থেকে গাছ পাচার, ধ্বংস থেমে নেই। প্রতিদিন ভোরে সাতছড়ি বনে জ্বালানি কাঠ ও গাছ কর্তনের জন্য শতশত শ্রমিক নির্ভয়ে প্রবেশ করছে।
অভিযোগ উঠেছে সাতছড়ি বনরক্ষীর কতিপয় অসৎ লোকদের টাকা দিয়ে শ্রমিকরা বনে প্রবেশ করে সেগুন বাগান থেকে ছোট ছোট গাছ কেটে পাচার করছে। সীমান্ত ঘেষা গহিন সেগুন বাগানে গাছ কর্তনের ফলে সেগুন বাগানটি কিছু দিনের মধ্যেই একটি ব্যর্থ বাগানে পরিণত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাহাড়ি শ্রমিকরা বনরক্ষীদের বাসা বাড়ি ও নার্সারিতে কাজ করার বিনিময়ে বন থেকে মূল্যবান গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, বনজ সম্পদ রক্ষায় বনরক্ষী ও উপকারভোগীরা কাজ করে যাচ্ছে। কোনো অনিয়ম ও গাছ পাচারের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
"