চট্টগ্রাম ব্যুরো
আড়াই হাজার বাসায় চুরির পর প্রথমবারের মতো ধরা
সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে হাঁটতে বের হয় ওরা। হাঁটার সময় তারা খেয়াল করে কোন ঘরের লাইট বন্ধ, কোন ঘরে কেউ নেই এসব। এরপর টার্গেট ঠিক করে চুরিতে নেমে পড়ে গ্রিল কাটা চোর চক্রের সদস্যরা। চক্রটির ৬ সদস্যকে গ্রেফতারের পর সদরঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ থেকে ১২ বছর পুলিশের কাছে অধরা থেকেই অন্তত আড়াই হাজার চুরির ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। গত শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন স্থানে টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বলছে, চক্রটি গত ১০-১২ বছরে অন্তত আড়াই হাজার চুরির ঘটনায় জড়িত ছিল। প্রথমবারের মতো তারা আইনের আওতায় এসেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেনÑ মো. বশির ওরফে বশর ওরফে বাচ্চু, জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম, মো. রুবেল, মো. জসিম, মো. ওসমান গণি ও নারায়ণ বনিক। তাদের কাছ থেকে দুইটি রেঞ্জ, একটি কাটার, তিনটি স্ক্রু ড্রাইভার ও দুইটি কোরা বারি উদ্ধার করা হয়, এসব সামগ্রী গ্রিল কাটার জন্য তারা ব্যবহার করে। এর আগে গত ১৩ জুন রাতে সদরঘাট থানাধীন কবি নজরুল ইসলাম রোডের একটি বাসায় গ্রিল কেটে দরজা ভেঙে ৩০ ভরি সোনা, নগদ টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় চোরের দল। এরপর ১৫ থেকে ১৮ জুনের যে কোনো সময়ে অভয়মিত্র ঘাট এলাকার আরেকটি বাসায় জানালার গ্রিল কেটে প্রবেশ করে ৩৫ ভরি সোনা ও নগদ টাকা নিয়ে যায় চোর চক্র। এই দুই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রিল কাটা চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সদরঘাট থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, চুরি করার সময় পুলিশ আসে কি না সেটা পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে গ্রেফতার ওসমান গণি। পুলিশ দেখামাত্রই ওসমান চক্রের অন্য সদস্যদের মোবাইলে মিসকল দেয়। কাজের মান অনুযায়ী চোরাই মালামাল তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।
"