ক্রীড়া ডেস্ক
ড্রয়ের পথে কলকাতা টেস্ট
ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম ইনিংসে ভারতকে একেবারেই অচেনা মনে হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার পেস তোপে রীতিমতো নাকাল হয়েছিলেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান করেছিল বিরাট কোহলির দল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেই স্বরূপে ফিরেছেন ভারতীয়রা। দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিন শেষে ১ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছে স্বাগতিকরা, লিড ৪৯ রানের। তাই অলৌকিক কিছু না হলে বৃষ্টিভেজা কলকাতা টেস্টের শেষ পরিণতি হচ্ছে ড্র।
ছন্দে ফেরার ইনিংসটা দুর্ভাগ্য বয়ে এনেছে শিখর ধাওয়ানের জন্য। দলে কক্ষপথে ফেরালেও একটা হতাশা নিয়েই বাইশ গজ ছাড়তে হয়েছে এই ওপেনারকে। মাত্র ৬ রানের জন্য টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরিটা মিস করেছেন ধাওয়ান। কাল শেষ বিকেলে দাসুন শানাকার বেরিয়ে যাওয়া বলটাতে ব্যাট ছোঁয়াটাই কাল হলো তার জন্য। বল গিয়ে আশ্রয় নেয় লঙ্কান উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকওয়েলার বিশ্বস্ত গ্লাভসে। তাতেই ভাঙে ধাওয়ান-লোকেশ রাহুলের ১৬৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। ফেরার আগে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৬ বলে ৯৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে গেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান।
ধাওয়ানকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন লোকেশ রাহুল। ১১৩ বল মোকাবেলায় ৮ বাউন্ডারিতে ৭৩ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। উইকেটে নতুন সঙ্গী হিসেবে তিনি পেয়েছেন চেতেশ্বর পূজারাকে (২*)।
এর আগে কাল সকালে ৪ উইকেটে ১৬৫ রানে দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। লাহিরু থিরিমান্নে (৫১), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (৫২), রঙ্গনা হেরাথের (৬৭) ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২৯৪ রানে থেমেছিল অতিথিদের প্রথম ইনিংস, সঙ্গে লিড ১২২ রানের। লঙ্কানদের দ্রুত গুটিয়ে দিতে আসল ভূমিকা পালন করেছেন ভুবনেশ্বর কুমার ও মোহাম্মদ শামি। সফরকারীদের পতন হওয়া উইকেটের ৮টি সমানভাবে ভাগ করে নেন এই পেসারদ্বয়।
"