ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯

স্ট্যান্ডবাই থেকে স্বর্ণকন্যা

নিজের নামটি মাইকে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অঝোরে কাঁদতে শুরু করলেন কম্পাউন্ড ইভেন্টের প্রতিযোগী সোমা বিশ্বাস। তার কান্না বাংলাদেশের স্বর্ণ উদ্যাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। মঞ্চ থেকে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল সোমার কান্না দেখে দৌড়ে এলেন। তার আনন্দঅশ্রু ছুঁয়ে গেছে গোটা দলকেই।

একটি ডিসিপ্লিন থেকে বাংলাদেশ ৭টি স্বর্ণ এর আগে কখনো পায়নি। সোমার স্বর্ণপদক দিয়ে আর্চারি দল সেই রেকর্ড গড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন সোমা। স্বর্ণ নিশ্চিত হওয়ার কয়েক মিনিট পেরিয়ে গেলেও কান্না থামছিল না তার। কান্নাজড়িত কণ্ঠেই বললেন, ‘যেখানে আমার খেলারই কথা ছিল না, সেখানে আমিই পেলাম স্বর্ণ।’

কম্পাউন্ড নারী বিভাগে সোমার অবস্থান ছিল চতুর্থ। কম্পাউন্ড বিভাগে শ্যামলী রায়, বন্যা ও সুস্মিতা তার চেয়ে সিনিয়র এবং ভালো আর্চার হিসেবেই পরিচিত। তাই স্ট্যান্ডবাই হয়ে এসে ব্যক্তিগত বিভাগে স্বর্ণ নিয়ে দেশে ফিরবেন, তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও কেউ ভাবেননি। যে কারণে ঘোরের মধ্যে ছিলেন খোদ সোমাও, ‘চার নম্বর খেলোয়াড় হয়ে গেমসে স্বর্ণ জিতলাম। এটা আমার কাছে স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু মনে হচ্ছে।’

স্ট্যান্ডবাই থেকে স্বর্ণ জয়ের রহস্য সম্পর্কে বলেন, ‘আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। তবে আমার চেয়ে বেশি ছিল আমার কোচের। আমি শুধু তার নির্দেশনা মেনে চলেছি।’ বাংলাদেশ আর্চারি দলের মূল কোচ জার্মানির ফ্রেডরিক মার্টিন হলেও কম্পাউন্ড বিভাগটা বিশেষভাবে দেখেন স্থানীয় কোচ জিয়াউল হক। শিষ্যের এমন সাফল্যে তৃপ্ত কোচ জিয়া বলেন, ‘আমার কোচিং ক্যারিয়ারে অনেক সময় ও পরিশ্রম দিয়েছি সোমার পেছনে। সেই শ্রম ও পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। ওর সবচেয়ে বড় গুণ কখনো হাল ছাড়ে না। বারবার চেষ্টা করে। সেই চেষ্টাই ওকে আজ স্ট্যান্ডবাই থেকে প্রথম করেছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close