ক্রীড়া ডেস্ক

  ১০ অক্টোবর, ২০১৮

পগবাকে চায় না জুভেন্টাস

পল পগবা পেশাদারি ফুটবলটা শুরু করেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। যুব দল থেকে ২০১১ সালে মূল দলে সুযোগ মিলেছিল হঠাৎ। কিন্তু এক বছরে মাঠে নামতে পেরেছেন মাত্র তিন ম্যাচে। এরপরই রেকর্ড ট্রান্সফার ফি ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর ঝড় তোলে তাকে কিনে নেয় ইতালির ক্লাব জুভেন্টাস। মূলত তুরিনেই ক্লাব

ক্যারিয়ারে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছেন পগবা। জুভদের জার্সিতে ৪ বছর কাটানোর পর ফের তিনি ২০১৬

সালে চলে আসেন পুরনো ঠিকানা ওল্ড ট্রাফোর্ডে। কিন্তু এটিই হয়তো তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। ঠিকানা বদলালেও নিয়ে আসতে পারেননি তার স্বর্ণালি অতীতটা।

যদিও বর্তমানে রেড ডেভিলদের অন্যতম অস্ত্র তিনি। কিন্তু কোচ হোসে মরিনহোর অধীনে নিজের প্রতিভাটা সেভাবে দেখাতে পারেননি পগবা। তার মধ্যে মরিনহোর সঙ্গে একের পর ঝামেলায় জড়িয়ে পগবাকে কখনো বসে থাকতে হয়েছে সাইড বেঞ্চে, কখনো সংবাদ সম্মেলনে উগরে দিয়েছেন নিজের ক্ষোভটা। প্রিমিয়ার লিগে তো ‘টক অব দ্য স্টোরি’ও হয়ে উঠেছে মরিনহো-পগবা দ্বন্দ্ব।

তবে মাঝখানে পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছিল রাশিয়া বিশ্বকাপ। দুর্দান্ত খেলে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন পগবা। বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডারকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মরিনহো। পগবাও মৌসুমের শুরুতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরেছিলেন আনন্দ-চিত্তে। কিন্তু কয়েক ম্যাচে না যেতেই পুনরায় মাথাছাড়া দিয়ে উঠে গুরু-শিষ্যের দ্বন্দ্ব। ইউনাইটেডের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণ হিসেবে কোচের আক্রমণাত্মক ফুটবলকে দায়ী করেন পগবা। আর মরিনহো কেড়ে নেন পগবার অধিনায়কত্ব। এমন সময়ে বার্সেলোনাকে নতুন ঠিকানা বানাতে চেয়েছেন পগবা। কিন্তু জল্পনা-কল্পনা চললেও ন্যু-ক্যাম্পে যাওয়া হয়নি ২৫ বছর বয়সী তারকার।

তবে এবার বার্সা নয়, গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে পগবার জুভেন্টাসে যাওয়ার। কিন্তু গুঞ্জনের ডালপালা বেশিদূর ছড়ায়নি। তার আগে সেসব ছেড়ে দিলেন জুভেন্টাসের ক্রীড়া পরিচালক ফ্যাবিও প্যারাটিসি। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত তুরিনে ফেরা হচ্ছে না পগবার। গত সোমবার গণমাধ্যমকে

প্যারাটিসি বলেন, ‘পগবা দুর্দান্ত

খেলোয়াড়। তাকে আমরা অনেক ভালবাসি। তার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু পগবাকে

জুভেন্টাসে ফেরানো নিয়ে আমরা ভাবছি না।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close