ক্রীড়া ডেস্ক
সেরেনার পাশে সবাই
শৈশবের আইডল সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে প্রথম গ্রান্ড স্লাম জিতেছেন জাপানের নওমি ওসাকা। একদিকে সেরেনার মতো কিংবদন্তিকে হারানো আর অন্যদিকে জাপানকে প্রথম গ্রান্ড স্লাম এনে দেওয়া, কোথায় একটু ২০ বছর বয়সীকে নিয়ে আলোচনা হবে তা না! উল্টো সেরেনা ‘বিতর্কে’ ঢেকে গেছে নাওমির কৃতিত্ব। কিন্তু ৭৯ মিনিটের লড়াইয়ে নাওমির জয়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছিল সেরেনা বনাম চেয়ার আম্পায়ার কার্লোস রামোসের বিতর্ক।
ম্যাচ চলাকালীন কোচ থেকে পরামর্শ নেওয়ার অভিযোগে সেরেনার কাছ থেকে পয়েন্ট কেটে নিয়েছিলেন রামোস। তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলেন উঠেন মার্কিন কৃষ্ণকলি। কোর্টেই রামোসকে ‘চোর’, ‘মিথ্যাবাদী’, ‘লিঙ্গবৈষম্যবাদী’ বলে রাগ ঢেলে দেন সেরেনা। র্যাকেট ছুঁড়ে মারার পাশাপাশি বিরতির পর কোর্টেও প্রবেশ করতে চাননি তিনি। হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন টুর্নামেন্ট রেফারির। বারবার মনোসংযোগে ব্যর্থ সেরেনা শেষ পর্যন্ত হেরেছেন ওসাকার বিপক্ষে। শাস্তি হতে পারে জেনেও তিনি বারবার লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ এনেছেন রামোসের বিরুদ্ধে। আর তাতে সেরেনাকে অবশ্য ১৭ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
সেরেনার এই ঘটনা নিয়ে এখন তোলপাড় টেনিস বিশ্ব। ম্যাচের পর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেরেনা জানান, ‘পুরুষ খেলোয়াড়রা অনেকে অনেক কিছু বলেন আম্পায়ারকে। কিন্তু কখনো এ রকম শাস্তি পেতে হয় না। আমি মেয়ে বলে আমাকে এই শাস্তি পেতে হলো। আমার থেকে একটা গেম নিয়ে নেওয়া হলো। এখানে শুধু নিজের জন্য নয়, মেয়েদের অধিকার নিয়ে লড়াই করছি।’
সেরেনার অভিযোগে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন বিলি জিন কিংয়ের মতো কিংবদন্তি। বিলি জিন টুইট করেছেন, ‘ছেলেটার কোনো শাস্তিও হয় না। ধন্যবাদ সেরেনা উইলিয়ামস, এই দ্বিচারিতার কথা সামনে নিয়ে আসার জন্য।’
সেরেনা পাশে পাচ্ছেন তার সমসাময়িক খেলোয়াডদেরও। ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা টুইট করেন, ‘এটা যদি পুুরুষদের খেলা হতো তাহলে এমন কিছুই হতো না।’
ডব্লিউটিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ডব্লিউটিএ বিশ্বাস করে কোর্টে ছেলে কিংবা মেয়ে খেলোয়াড়দের প্রকাশ করা আবেগের সহনীয় মাত্রা একই হওয়া উচিত। কোর্টে নারী-পুরুষ সব খেলোয়াড়কে যেন সমান চোখে দেখা হয়।’
"