আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৪ জুলাই, ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রকে উপেক্ষা করে সামরিক সহযোগিতার পথে চীন-ইরান

যুক্তরাষ্ট্রকে তোয়াক্কা না করে ব্যাপক পরিসরে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গড়ে তুলছে ইরান এবং চীন। এই অংশীদারিত্বের একটি খসড়া চুক্তি করেছে দুই দেশ। ১৮ পাতার এই প্রস্তাবিত চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ হাতে পেয়েছে ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকা। এ চুক্তির আওতায় ইরানের ব্যাংকিং, টেলিকমিউনিকেশন, বন্দর, রেলওয়েসহ আরো ডজনখানেক প্রকল্পে চীনের শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগের পথ খুলে যাবে। ব্যাহত হবে ইরানকে একঘরে করার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টাও।

তাছাড়া, ইরানে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের বিনিময়ে চীন আগামী ২৫ বছর ধরে অনেক বেশি মূল্যছাড়ে ইরানের তেল পাবে। এক ইরানি কর্মকর্তা এবং তেল ব্যবসায়ী এ কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, দুই দেশের সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চুক্তির আওতায় ওই অঞ্চলে চীনের পদচারণার পাশাপাশি যৌথ প্রশিক্ষণ, মহড়া, যৌথ গবেষণা, অস্ত্র উন্নয়ন এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের দ্বার খুলে যাবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৬ সালে ইরান সফরকালে প্রথম অংশীদারিত্বের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব জুনে অনুমোদন করেছে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মন্ত্রিসভা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ গত সপ্তাহে এ কথা জানিয়েছেন। চুক্তিটির বিস্তারিত বিবরণে যা বলা আছে, তেমনভাবেই এটি কার্যকর হলে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবনতিশীল সম্পর্কের আবহে এটি নতুন করে আরেক ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনবে। দুই দেশের এ সখ্যতায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আরো বাড়বে। তাছাড়া, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আগ্রাসী নীতিও এতে ধাক্কা খাবে। ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী নীতি নিয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close