আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৯

পিছিয়ে যাচ্ছে ব্রেক্সিট

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ সপ্তাহে পার্লামেন্টে চুক্তি পাস করাতে ব্যর্থ হলে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিটে দেরি করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রেক্সিটে সময় চেয়ে ইইউকে সই ছাড়া চিঠি পাঠালেন জনসন।

যদিও এটি পাকা কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এ সময় পরিবর্তনও হতে পারে, অর্থাৎ যুক্তরাজ্য এ সময়ের আগেও বেরিয়ে যেতে পারবে। তা হতে পারে ১ নভেম্বর, ১৫ ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে। কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকা এ কথা জানিয়েছে।

পত্রিকাটি জানায়, ইইউ দেশগুলোর সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত ব্রেক্সিট চুক্তি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হওয়ার সুযোগ কতটুকু তা খতিয়ে না দেখছে ততক্ষণ এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত শনিবার পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি পাসে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার ফের আগামী সোমবার তা পাসে আরেক দফা চেষ্টা নিতে চলেছেন। যদিও এদিন ভোটাভুটি হবে কি না বা স্পিকার তা করতে দেবেন কি না তা নিশ্চিত নয়।

ইইউ কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা গত রোববার রয়টার্সকে বলেছেন, লন্ডনে কী হচ্ছে তার ওপরই নির্ভর করবে ব্রেক্সিটের সময় কতটা বাড়ানো হবে সে বিষয়টি। সময় অতিরিক্ত এক মাস অর্থাৎ, নভেম্বরের শেষ নাগাদ থেকে শুরু করে অর্ধবছর এমনকি আরো বেশিও বাড়ানো হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী জনসন ইইউ’কে ব্রেক্সিটে দেরি করার জন্য স্বাক্ষরবিহীন চিঠি দিলেও নিজের সই করা আরেকটি চিঠিতে এও লিখেছেন যে, ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়াটা ‘ভুল’ হবে। এতে যুক্তরাজ্য এবং ইইউর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও দুইয়ের মধ্যকার সম্পর্ক নষ্ট হবে। ফলে ইইউ এখনই ব্রেক্সিটে দেরির সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে কেবল সময় হাতে রাখার চেষ্টা নিয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে চুক্তি পাসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close