আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০১ জানুয়ারি, ২০১৯

বাণিজ্যযুদ্ধে দুই শক্তিধর দেশ

বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এ বছর শুল্ক নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শুরুতেই আমদানি করা সোলার প্যানেল ও ওয়াশিং মেশিনে শুল্ক বসিয়ে বেইজিংয়ের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেন ট্রাম্প। মেধাস্বত্ব আইনের লঙ্ঘনসহ চীনের বিরুদ্ধে অন্যায্য বাণিজ্য চর্চার অভিযোগ এনে পরের মাসেই আরো ১ হাজার ৩০০ চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপে তৎপর হন তিনি।

ওয়াশিংটনের পদক্ষেপের পাল্টায় এপ্রিলেই আমদানি করা ১২৮ মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসায় বেইজিং। জুনের মাঝামাঝিতে হোয়াইট হাউজও ৫০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করে। এরপর আগস্টে এবং সেপ্টেম্বরে ফের পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ করে দুই দেশ।

এভাবে শুল্কযুদ্ধ চলার মাঝেই? চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ করার পাশাপাশি মার্কিন ‘দস্যু মানসিকতার’ বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর ঘোষণা দেয়।

পরে জি-২০ সম্মেলনের সময় দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বাণিজ্য যুদ্ধে তিন মাসের বিরতি দিয়ে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়; কিন্তু কানাডায় চীনের টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা আটকের ঘটনা বাড়িয়ে দেয় অস্বস্তি। শুরু হয় নতুন সংঘাত।

আমদানি করা ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক বসিয়েও এবছর ইউরোপ আর উত্তর আমেরিকার মিত্র দেশগুলোর মধ্যে ট্রাম্প জন্ম দিয়েছেন তীব্র অসন্তোষের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close