অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
পোষা প্রাণী থেকে অ্যালার্জি
অ্যালার্জি, অ্যাজমা ও পলিনোসিসের মতো রোগগুলোয় আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে কুকুর ও বিড়ালের মতো পোষা প্রাণী। বিড়ালের এলারজেনের মূল উৎস হচ্ছে তাদের ত্বকে অবস্থিত এক ধরনের তৈলাক্ত গ্রন্থি (সেবাসিয়াম গ্ল্যান্ড)। এদের শরীর থেকে সব সময় এ জাতীয় অ্যালারজেন নিঃসরিত হয় এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে কুকুরের এলারজেনের মূল উৎস হচ্ছে তাদের মুখ থেকে নিঃসৃত লালা। এক্ষেত্রে তাদের লোমের ভূমিকা তুলনামূলকভাবে কম। যদিও উভয়েই অ্যালার্জি সৃষ্টিতে সক্ষম। সুতরাং সব প্রজাতির কুকুর অ্যালার্জি সৃষ্টিতে সক্ষম। যদিও কিছু প্রজাতির কুকুর তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণে লোম ও লালা নিঃসরণ করে। সুতরাং এসব প্রজাতির কুকুরের দ্বারা অ্যালার্জি সৃষ্টির সম্ভাবনা কম। কুকুর এবং বিড়াল ছাড়াও অন্যান্য প্রাণী যাদের কারণে অ্যালার্জি হতে পারে তাদের মধ্যে ঘোড়া, ইঁদুর, খরগোশ, গিনিপিগ এবং পাখি অন্যতম। এসব প্রাণীর অ্যালারজেন দ্বারা পলিনোসিস ও অ্যাজমার মতো রোগগুলো হতে পারে।
পোষা প্রাণী থেকে সৃষ্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে করণীয় : পোষা প্রাণী থেকে সৃষ্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহজে সম্পাদনযোগ্য কিছু পদক্ষেপ, যা কিনা বেশ কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, সেগুলো নিম্নরূপ :
১. বাড়িতে কোনো প্রকার লোমশ প্রাণী না আনা
২.পোষা প্রাণীর জন্য নতুন আবাসস্থল তৈরি করা
৩. পোষা প্রাণীর চলাফেরা একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।
৪. পোষা প্রাণীকে রোগীর ঘর থেকে দূরে সরিয়ে রাখা।
৫. উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার-ক্লিনার ব্যবহার করা।
৫. পোষা প্রাণীকে নিয়মিত গোসল করানো।
৬. যদি কোনোমতেই অ্যালার্জির জন্য দায়ী প্রাণীর সংস্পর্শ পরিহার করা সম্ভব না হয়, তবে ইমিউনোথেরাপির শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে। তবে এ ব্যাপারে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশমতো পদক্ষেপ নিতে হবে।
অধ্যাপক, অ্যালার্জি বিভাগ
সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
দ্য অ্যালার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা সেন্টার
"