নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২০

অনুশীলন ভোট

ইভিএম কেউ বুঝলেন কেউ বুঝলেন না

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের মধ্যে এই যন্ত্রে ভোট নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে ভোটারদের কাছ থেকে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোটের তিন দিন আগে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএমের প্রদর্শনীতে এসে ভোটদান সহজ হওয়ার কথা অনেকে বললেও কারো কাছে তা ঠেকেছে জটিল। ১ ফেব্রুয়ারির ঢাকার দুই সিটির ভোট সামনে রেখে এদিন দুই সিটির অনেক কেন্দ্রে ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।

ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে সম্পূর্ণ ভোটগ্রহণ করা হবে ইভিএমে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩০ লাখ ৯ হাজার এবং দক্ষিণ সিটিতে ২৪ লাখ ৫২ হাজার ভোটার রয়েছেন।

ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৩১৮টি ভোটকেন্দ্রে ৭৮৫০ ভোটকক্ষের বিপরীতে দক্ষিণ সিটিতে ১১৫০ ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষের সংখ্যা ৬৫৮৯টি। দুই সিটির প্রায় ২০টি ভোটকেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারের তুলনায় প্রদর্শনীতে নগরবাসীর উপস্থিতি অনেক কম। তাদের কেউ কেউ জানালেন, যন্ত্রে ভোটিং প্রক্রিয়া বুঝতে ‘কষ্ট হচ্ছে’। আবার কেউ বলছেন, অনেক সহজ পদ্ধতি। উত্তর মুগদাপাড়া থেকে দক্ষিণ মুগদাপাড়ার কাজী জাফর আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় এসেছেন ভোটার এ এফ মো. মজিবর রহমান। জাতীয় নির্বাচনে তিনি দক্ষিণ মুগদাপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। হাতে-কলমে একবার ভোট দিয়ে তিনি বলেন, আসলে ভালো কইরা বুঝি নাই। ভোট দিতে আসব। বুঝতাছি না, দিতে পারব কি না।

দক্ষিণ মুগদাপাড়ার ওয়াপদা গলির বাসিন্দা ব্যবসায়ী এ কে আজাদ অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে ইভিএম ভোটিং দেখে নিজে চেষ্টা করলেন। কিন্তু এ কেন্দ্রের ভোটার নন বলে তিনি ভোট দিতে পারেননি। এই ব্যবসায়ী বলেন, যা দেখলাম, তাতে জটিল মনে হয়েছে। কেউ কেউ হয়তো এক দিনে, একবার চেষ্টা করেই বুঝতে পারবে। আমি বুঝি নাই। আমি তো তাও একটু শিক্ষিত, যারা অশিক্ষিত তারা তো আরো বুঝব না। এভাবে তো অর্ধেক ভোটও নিতে পারব না।

তবে সিকিউরিটি গার্ড মোহাম্মদ খোকন মিয়ার প্রতিক্রিয়া আবার একেবারেই বিপরীত। তার কাছে ইভিএম ভোট সহজ মনে হয়েছে। তিনি বলেন, একবারেই আমি বুঝতে পারছি। সহজই মনে হইছে। ভোট দিতে সময় কতক্ষণ লেগেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশিক্ষণ না। এক মিনিট তো লাগবই।

অনুশীলনে ভোটারদের সাড়া সম্পর্কে পোলিং কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, আসছে অনেকেই। তবে বেশির ভাগই আসছে অন্য ভোটকেন্দ্রের ভোটার। ফলে তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে।

আরেক পোলিং কর্মকর্তা ববিতা রানী ভৌমিক বলেন, প্রত্যেক ভোটারের তিনটা করে ভোট। ভোটার সচেতন হলে ৩০ সেকেন্ডেই একজন ভোট দিতে পারবেন। বিষয়টা কিন্তু খুবই সহজ। আশা করি ভোটাররা সহজেই ভোট দিতে পারবেন। আর আটকে গেলে আমরা তো আছিই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close