নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২০

বিজিএমইএ ভবন ভাঙা শুরু

হাতিরঝিলে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না

গণপূর্তমন্ত্রী

হাতিরঝিলের অনুমোদিত নকশার বাইরে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না এবং থাকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙা শুরু হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে এটি করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবৈধভাবে হাতিরঝিলে নির্মিত বহুল আলোচিত বিজিএমইএর ভবন ভাঙার কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, রাজউকের সদস্যরা এবং হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক ও রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রেজাউল করিম বলেন, দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলের ওপরে অপরিকল্পিত ও বেআইনিভাবে বিজিএমইএ ভবন গড়ে উঠেছিল। চমৎকার ঢাকার ওপর বিষফোঁড়ার মতো এই ভবন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এটি অপসারণের জন্য আমরা পরিকল্পনা নিই। সেই পরিকল্পনায় আইনগত কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে সেজন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়। টেকনিক্যাল কারণে তারা অপারগতা প্রকাশ করায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে ভবনটি অপসারণে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। তারা ছয় মাসের ভেতরে ভবনটি অপসারণ করবে। এ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক দেখভাল করার জন্য বুয়েট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধিসহ নগর ও ইমারত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টিম করা হয়েছে। এছাড়া রাজউকের নিজস্ব একটি টিমও এ কাজ নিয়মিত দেখভাল করবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদেরও নাগরিক দায়িত্ব আছে, আমরা যাতে নিজেদের পয়োবর্জ্য হাতিরঝিলে ফেলার মতো দায়িত্বহীন কাজ না করি। হাতিরঝিলের অনুমোদিত এলাকার ভেতরে ন্যূনতম কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। পর্যায়ক্রমে সব স্থাপনা আমরা সরিয়ে দেব।

অবৈধভাবে ভবন নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আমরা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেয়ে বড় করে দেখি রোগ সারানোকে। রোগের কারণ নিয়ে অবশ্যই রিসার্চ করতে হবে, কিন্তু রোগ সারাতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়মবিরোধী প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স কার্যক্রম বাস্তবায়নে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি।

উল্লেখ্য, রাজউকের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ সম্পন্ন করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ। এক্সাভেটর, বুলডোজার, কংক্রিট জ্যাকহামার, দীর্ঘ ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্রেন, ওয়েল্ডিং মেশিন, ড্রাম ট্রাক, গ্যাস কাটারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে ভবনের ওপর অংশ হতে নিচের অংশ ধারাবাহিকভাবে অপসারণের জন্য আলোচ্য প্রতিষ্ঠানকে চুক্তির শর্ত দিয়েছে রাজউক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close