যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসন একটি প্রস্তাবনার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা ইতোমধ্যেই সরকারি সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে, এমন বিদেশিদের জীবন কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী যে অভিবাসীরা খাদ্য, বাসস্থান বা স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে, তারা বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তাদের গ্রিনকার্ড পাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, এতে অনেক কষ্ট করে যারা গ্রিনকার্ড পেয়েছে, তাদের জীবনে নাভিশ্বাস উঠবে।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিদেশিদের জন্য নানা ধরনের সুবিধা বন্ধ কিংবা আরো কঠোর করার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে গতকাল রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর ফলে দেশটিতে বৈধভাবে যেসব বিদেশি যাবে বা রয়েছে তাদের খাদ্য সহায়তা, গৃহায়ন কিংবা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রস্তাবিত রেগুলেশন্সে অভিবাসন কর্মকর্তাদের ভিসা কিংবা বসবাসের অনুমতি প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। দেশটিতে বসবাসের অনুমতি পাওয়া ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবার মতো কিছু বিষয়ে সেবা পাওয়ার আইনগত অধিকার রয়েছে। নতুন নীতমালা হলে বিদেশিদের জন্য এসব সুবিধা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। প্রায় দুই দশক ধরে চলমান নীতির আওতায় সেখানে অনুমতি নিয়ে বসবাসরত বিদেশিরা এসব সুবিধা পেয়ে আসছিল। এখন নতুন নীতিমালা কার্যকর হবে, যারা ভিসা চাইবে বা স্থায়ী বসবাসের আইনগত অনুমতি চাইবে, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে যারা নাগরিকত্বের আবেদন করবে, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বিদেশি আছে, যারা গ্রিনকার্ডের আবেদন করেছে, নতুন প্রস্তাবনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তারাও।

সেক্রেটারি অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কার্স্টজেন নিয়েলসেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যারা অভিবাসনের আবেদন করবে, তাদের আর্থিকভাবে নিজেদের সাহায্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, অভিবাসীদের আত্মনির্ভরশীলতায় উদ্বুদ্ধ করা, যাতে তারা আমেরিকান করদাতাদের জন্য বোঝা না হয়, সে জন্য প্রস্তাবিত আইন কংগ্রেসে উত্থাপন করা হবে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন নীতিমালা কংগ্রেসে উত্থাপনের প্রয়োজন হবে না। যদিও চূড়ান্ত হওয়ার আগে এর ওপর মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্টরা এসব বিষয়ে পাওয়া মতামতগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রায় তিন লাখ বিরাশি হাজারের বেশি ব্যক্তি স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়ে থাকেন আর নতুন এ নীতি তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

"