আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১১ আগস্ট, ২০১৮

আফগানিস্তানে তালেবান হামলায় শতাধিক হতাহত

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় গজনি শহরে হামলা চালিয়েছে তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠী। হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি বাহিনী ওই এলাকা থেকে জঙ্গিদের হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। তবে তালেবানের হামলায় শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ২টায় তালেবানের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বন্দুকযুদ্ধে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। গাজনি শহরের বেশ কিছু দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

প্রাদেশিক পুলিশের প্রধান ফরিদ আহমেদ মাসাল জানান, হামলায় ১২ পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরো শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। তবে ঠিক কতজন মারা গেছেন বা আহত হয়েছেন সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি। তিনি বলেন, হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই তালেবানের সদস্য।

পুলিশপ্রধান জানান, তালেবানকে ওই এলাকা থেকে হটিয়ে দেওয়ার পর বেশ কয়েকজন তালেবান সদস্যের মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তিনি জানিয়েছেন, শহরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তালেবানের ৩৯ জন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তালেবান যোদ্ধারা শহরের আবাসিক এলাকায় লুকিয়ে থেকে আফগান সেনাদের ওপর হামলা চালায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা শহরের কিছু অংশ দখল করে নেয়। গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আফগান বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলতে থাকে। পরে জঙ্গিদের হটিয়ে ওই এলাকা মুক্ত করতে সক্ষম হয় সেনাবাহিনী। দুই পক্ষের লড়াইয়ের পর পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে। কীভাবে তালেবান ওই শহরটির এত গভীরে অনুপ্রবেশ করল তা জানার চেষ্টা করছে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই শহরটি রাজধানী থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।

গজনি শহরের হাসপাতালের প্রশাসক বাজ মোহাম্মদ হেমাত বলেন, তালেবানের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৪ সদস্য নিহত এবং আরো ২০ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুইজন বেসামরিক নাগরিকও আহত হয়েছে। তবে বন্দুকযুদ্ধের পর পুরো শহর স্তব্ধ হয়ে গেছে। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সও চলাচল করতে পারছে না এবং অ্যাম্বুলেন্সও বাইরে পাঠানো হচ্ছে না।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রাদমানিস জানিয়েছেন, তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশকে সহায়তা করেছে সেনাবাহিনী। শহর এখন সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close