কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

কিশোরগঞ্জ-২

প্রতীক পেয়েই ভোটারদের দোরগোড়ায় ছুটচ্ছেন প্রার্থীরা

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে প্রতীক পেয়েই নির্বাচনী তোড়জোর শুরু হয়েছে প্রার্থীদের। ভোটারসহ এলাকাবাসীকে প্রচারনার শুরুতেই প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচনী শুভ দিনের ছালাম জানিয়ে মাইকিং শুরু হয়েছে। নৌকার পক্ষে খন্ড খন্ড মিছিলও শোনা যায়। অন্য প্রার্থীরা মিছিল না করলেও নির্বাচনী কার্যক্রমে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকলেই ছুটে যাচ্ছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে। নিজ নিজ কর্মীরা রয়েছেন ব্যস্ত। গণসংযোগ, সভা সমাবেশ আর কর্মীদের নিয়ে চলছে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা। সেই মোতাবেক ব্যস্ত দিন পার করছেন প্রার্থী ও কর্মীরা।

কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া আসনে মোট প্রার্র্থী ৭জন থাকলেও মুলত নৌকা আর ধানের শীষেই হবে প্রকৃত লড়াই। তাই নৌকা এবং ধানের শীষের প্রার্থীর দৌড়ঝাপ চোখে পড়ার মত। তারা যেন নাওয়া খাওয়া বিশ্রামকে নির্বাচন পর্যন্ত দিনগুলোকে ছুটি জানিয়েছেন। রাতদিন ছুটে চলেছেন এগ্রাম থেকে ওগ্রামে, প্রতিটি পাড়া মহল্লায়। কিভাবে নির্বাচন বৈতরনী পার হওয়া যায় তা নিয়েই চলছে নানা কলাকৌশল। মহাজোট মনোনিত আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক আইজিপি, সচিব ও রাষ্ট্রদূত নূর মোহাম্মদ। নূর মোহাম্মদ এসপি থেকে আইজিপি পর্যন্ত চাকরী জীবনে এলাকায় সব সময়ই যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন এবং সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর রাখতেন। যে কোন প্রয়োজনে তার কাছে গেলে সাধারণ মানুষ কখনো নিরাশ হতেন না। তিনি বাড়ি আসলেই লোকজন একটু সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ছুটে যেতেন তার বাড়িতে। চাকুরী থেকে অবসরে এসে নির্বাচনী এলাকায় শুরু করেন গণসংযোগ, সভা, সমাবেশ আর ওঠান বৈঠক। বিগত দুই বছরে নির্বাচনী এলাকায় দুই শতাধিক গনসংযোগ সভা সমাবেশ করে তার একটি নিজস্ব ভোট ব্যাংক তৈরী করেন তিনি। সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টিসহ অন্যান্য দলের নেতা কর্মী সমর্থকও রয়েছেন। সব মিলিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা আর জনসমর্থন বিজয়ের নিশান উড়ানোরমত আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে তাকে। তারপরও ছুটে চলেছেন ভোটরদের দ্বারে দ্বারে। অন্য দিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনিত বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মেজর অব. আখতারুজ্জামান রঞ্জন। তিনি ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে এমপি ছিলেন। ২০০১ সালে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা সোজা সাপটা কথা বলা আর দলের কর্মকান্ডে বিরুদ্ধাচারণের জন্য নানা ভাবে আলোচিত সমালোচিত হলেও তার জনপ্রিয়তার একটুও ঘাটতি দেখা দেয় নি। আপীল করে তার প্রার্থীতা বৈধ হওয়ার সংবাদে নেতা কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেন। যেখানেই তার সভা সমাবেশ সেখানেই লোক সমাগমের যেন কোন কমতি নেই। এলাকায় তার ব্যাক্তিগত ভোট ব্যাংক রয়েছে। গণতন্ত্র পুনরোদ্ধার এবং বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য জনগণের কাছে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করছেন সাবেক এই সাংসদ মেজর অব. আখতারুজ্জামান রঞ্জন।

আন্যদিকে আসনটি থেকে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী কমরেড নূরুল ইসলাম ভিশন-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ বাস্তবায়নের লক্ষে কাস্তে প্রতীকে ভোট চেয়ে জনগনের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন রুবেল হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদন্দীত করছেন।

এছাড়াও জাকের পার্টির আব্দুল জব্বার গোলাপ ফুল প্রতীকে, ন্যাশনাল পিপুলস পার্টি (এনপিপি) তারেক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম আম প্রতীক এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম হারিকেন প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close