reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৯ আগস্ট, ২০১৭

জিআই পণ্যে ইলিশ...

মৎস্য অধিদফতর ও গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্র মতে, পৃথিবীর মোট আহৃত ইলিশের ৬৫ শতাংশই বাংলাদেশের। আহৃত মোট মাছের ১২ শতাংশই হচ্ছে ইলিশ। বিগত ২০০০-০১ অর্থবছরে দেশে দুই লাখ ২৯ হাজার ৭১৪ টন, ২০০১-০২ অর্থবছরে দুই লাখ নয় হাজার ১২১, ২০০২-০৩ অর্থবছরে এক লাখ ৩৩ হাজার ৩২ টন ইলিশ উৎপাদিত হয়। এরপর থেকে শুরু হয় ইলিশ সংরক্ষণ। জাটকা নিধন ও মা-ইলিশ সুরক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ইলিশের উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। ২০০৮-৯ অর্থবছরে উৎপাদন ২ লাখ ৯৮ হাজার ৯২১ টন, ২০০৯-১০-এ তা বেড়ে ৩ লাখ ১৩ হাজার টনে ওঠে। এভাবে বাড়তে বাড়তে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উৎপাদনের পরিমাণ হয় ৩ লাখ ৯৮ হাজার টন।

স্বাদে-গন্ধে এবং গ্রহণযোগ্যতায় রুপালি ইলিশের কোনো জুড়ি নেই। আর সে কারণেই স্বীকৃতি পেল ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের। জামদানির পর দ্বিতীয় পণ্য হিসেবে ইলিশ একমাত্র বাংলাদেশের পণ্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হতে চলেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মৎস্য অধিদফতরের হাতে এ সনদ তুলে দেওয়া হবে। আমরা আর সাত দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পণ্যের একমাত্র স্বত্বাধিকারী হতে চলেছি। একটি সুখবর পাওয়ার মধ্য দিয়ে রুপালি ইলিশ আমাদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। আর বার্তাটি হলো, ‘ইলিশ শিশুকে হত্যা আর মানব শিশুকে হত্যার মাঝে কোনো ফারাক নেই। সুতরাং একটি ইলিশ শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে নিজের শিশুকে হত্যা করবেন না।’ আমরা যদি এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে পারি, তাহলে দেশের অনেক বড় মাপের হত্যাযজ্ঞও কালক্রমে বন্ধ হওয়ার পথে চলতে শুরু করবে। একটি হত্যাযজ্ঞ যেমন আরেকটি হত্যাযজ্ঞকে নিমন্ত্রণ করে ডেকে আনে; ঠিক একইভাবে একটি হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হওয়ার কার্যক্রম অন্য হত্যাযজ্ঞ কার্যক্রমকে বন্ধ হওয়ার কাজে উৎসাহিত করবে।

এ হত্যাযজ্ঞ শুধু ইলিশশিশুর ওপর থেকে সরিয়ে নিলেই হবে না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মা শিশুকেও রক্ষা করতে হবে। প্রজননকালে মা-ইলিশ হত্যাকে লাখো ইলিশ শিশু হত্যার সমতুল্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সুতরাং এখানেও সেই একই বাক্য উচ্চারিত হতে পারে, আমরা লাখো ইলিশ শিশুর হত্যার দায় নিতে পারি না। আমরা কখনোই বলছি না যে, আমরা খাদ্য তালিকা থেকে ইলিশকে বাদ দেব। আমাদের খাদ্য তালিকায় ইলিশ থাকবেই শুধু নয়-বেশি বেশি করে থাকবে। শুধু তিন মাস আমরা ইলিশ খাওয়া থেকে বিরত থাকব। তাহলে আগামীতে ইলিশ শুধু আমাদেরই হয়ে থাকবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist