রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২৬ অক্টোবর, ২০১৯

বিশ্লেষণ

ইরান-আমেরিকা সংকট ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়

আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সংঘাত নতুন নয়। ছয় দশকের বেশি সময় ধরে চলছে। শাহদের শাসনামলে এই পরিবারের প্রভাব-প্রতিপত্তি কাজে লাগিয়ে অনেক দিন ধরেই ইরানের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ তেলের ওপর বিরাট ভাগ বসিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে ছিল যুক্তরাজ্য। ইরান সদর্পে ঘোষণা দিয়ে ইউরেনিয়াম আহরণ জোরালো করেছে। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সম্প্রতি এ ঘোষণা দিয়েছেন। একগুঁয়ে ইরানের এই পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও কঠোর। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় এলাকায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে। ইরানে ক্ষমতার পালাবদল হলেও বেশির ভাগ ইরানি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপকে ভালোভাবে নেয়নি। জনরোষ ক্রমে শাহ পরিবারের দিকে ধাবিত হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী রেজা শাহ নিজের অবস্থান মজবুত করতে কঠোর অবস্থান নেন। সাভাক নামে তার একটি গোপন পুলিশ বাহিনী ছিল। হাজার হাজার মানুষকে তারা নির্যাতন করে, নৃশংসভাবে হত্যা করে ১৯৫১ সালে ইরানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ মোসাদ্দেক দেশের তেলসম্পদকে জাতীয়করণের একটা পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। পশ্চিমা দেশে শিক্ষিত মোসাদ্দেক ছিলেন সাহসী ও বুদ্ধিমান। মার্কিন ও ব্রিটিশরা পড়ে গেল সমস্যায়। ভাবল, এই প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বার্থ তো দেখবেনই না, বরং এতে কুড়াল চালাবেন। গোপন সলাপরামর্শে বসে গেল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস। উদ্দেশ্য একটাইÑ মোসাদ্দেককে উৎখাত করে পশ্চিমা স্বার্থসহায়ক নতুন নেতা নিয়ে আসা। পরে যে অভ্যুত্থানটি ঘটানো হলো, এর সাংকেতিক নাম অপারেশন পিটি-অ্যাজাক্স। এতে পতন হলো মোসাদ্দেকের।

১৯৫৩ সালের আগস্টে এলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মুহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভি। তার সরকার ছিল ধর্মনিরপেক্ষ, কমিউনিস্টবিরোধী ও পশ্চিমাপন্থি। কোটি কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তার বিনিময়ে ইরানের তেলসম্পদের মোট মজুদের ৮০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হাতে তুলে দেয় এই সরকার।

সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ইরানকে দেড় হাজার কোটি ডলার অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। নানা কারণে এ ধরনের প্রস্তাব খুবই আশাজাগানিয়া। তবে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমে এমনভাবে বিষিয়ে উঠছে যে, এখনই কূটনৈতিকভাবে এর সমাধান করা না গেলে তা উপসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি উত্তেজনার সৃষ্টি করবে। পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণের গতি বাড়ানো ছাড়াও ইরান এখন পারস্য উপসাগর এবং আরব উপদ্বীপে কৌশলগত যুদ্ধ শুরু করেছে। গত কয়েক মাসে ইরান এই অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকটি বিদেশি তেলবাহী জাহাজকে জব্দ করেছে। তারা হরমুজ প্রণালিতে নজরদারি করা একটি মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তেল ও অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজের অন্যতম প্রধান এই যাত্রাপথের আশপাশে সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনাজনিত জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। মনে করা হচ্ছে, এগুলো অন্তর্ঘাত। এর পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের দুটি তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলার দায় স্বীকার করলেও ব্যাপকভাবে মনে করা হচ্ছে এই হামলার নেপথ্যে ইরানের হাত আছে। এসব ঘটনায় ইরানের যোগসাজশ থাকা, না থাকা এখন বড় কথা নয়।

যে বিষয়টি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ঘোষণা করেছেন। ইরানকে যদি তার তেল বিক্রিতে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে পারস্য উপসাগর থেকে এক ফোঁটা তেলও রফতানি হতে দেওয়া হবে না। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান নিজেদের সব মুখোশ খুলে এমন এক ঝুঁকিপূর্ণ খেলায় মেতে উঠেছে যে, তা গোটা অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে জটিল প্যাঁচের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ক্রমে সেই জটিলতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র যখন ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার এবং আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার ঘোষণা দিল, মূলত তখনই এই অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়। ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করার অংশ হিসেবে তখন থেকেই ওয়াশিংটন তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানের সঙ্গে বাকি বিশ্বের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, তাদের তেল বিক্রয়লব্ধ রাজস্ব আয় কমানো এবং সর্বোপরি নানা কায়দায় ইরানের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধস নামানোই যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য। আমেরিকার এ ধরনের বিশাল অর্থনৈতিক আঘাতের জবাবে সমান শক্তির আঘাত করার ক্ষমতা যেহেতু ইরানের নেই, সেহেতু ইরানকে সৃজনশীল কৌশল বেছে নিতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের এই দ্বন্দ্বের প্রথম ধাক্কাটা লেগেছে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ আমেরিকার ইউরোপীয় মিত্রদের ওপর। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পারমাণবিক-সংক্রান্ত যে চু ক্তি হয়েছিল, তাতে তারাও সই করেছে। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চুক্তিতে সই করার মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য বেড়েছিল। ইরানও চুক্তির শর্ত মেনে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে নিয়ে এসেছিল।

কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে চুক্তি থেকে বের হওয়ায় ইরানের শর্তের বাঁধন অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে। এতে ইউরোপীয় দেশগুলোর যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা, সেসব সুবিধা অনেকটাই খর্ব হবে।

যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলেও ইরান এখনো বের হয়নি। তবে চুক্তিতে যেসব বিধিনিষেধ মেনে চলার কথা, সে বিষয়ে তারা শৈথিল্য দেখাচ্ছে। যেমন, চুক্তিতে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম সর্বোচ্চ যে মাত্রায় চালানোর কথা ছিল, ইরান এখন তার চেয়ে বেশি সমৃদ্ধ করছে। ইরানের এই অধিক মাত্রার সমৃদ্ধকরণ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন তেমন একটা গা করছে না, কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন এটি নিয়ে বিচলিত হয়ে পড়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেও অনেক ক্ষতি স্বীকার করে নিতে হবে। একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ইউরোপীয় মিত্ররাসহ বাকি বিশ্বের কাছে তার অঙ্গীকারনিষ্ঠতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তার কারণেই জেসিপিওএর শর্ত মানার বিষয়ে ইরানের বাধ্যবাধকতার সুযোগ কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি অস্বীকার করে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ বাড়ানোর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। অপরদিকে সৌদির তেলক্ষেত্রে হামলার পরপরই ট্রাম্প সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইরানও যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। এখনই তাদের মধ্যে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা হয়তো নেই, কিন্তু তাদের কারণে উপসাগরীয় এলাকায় একটা অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছে। ওয়াশিংটন ও তেহরান যখন কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে একে অপরকে শায়েস্তা করার পথ খুঁজছে, ঠিক তখন সৌদি আরব ও ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ইরানের বিরুদ্ধে এই দেশ দুটি আগেও তৎপর ছিল, তবে এখন সে তৎপরতা বহুগুণ বেড়ে গেছে।

আবার জেসিপিওএতে স্বাক্ষরকারী সবগুলো ইউরোপীয় দেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আঞ্চলিক অংশীদার দেশ এই উত্তেজনার অবসান চাইছে। এ লক্ষ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সংলাপ আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং ইইউ সবাই গত জুলাইয়ের ভিয়েনা সম্মেলনে এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে। তবে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলাপ-আলোচনা হতে হলে ইরানের প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতা দরকার। তবে এ কথা অবশ্যই সত্য যে, ইরানের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি অনেক বেশি। কিন্তু ট্রাম্প এখন আর কোনোভাবেই মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধে জড়াতে চাইবেন না। বিশেষ করে সেখানে আবার লাখ লাখ মার্কিন সেনা মোতায়েন করা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এখন প্রায় অসম্ভব। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরানের ব্যাপক ক্ষতি করবে সন্দেহ নেই, তবে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বাইরে এখন যুক্তরাষ্ট্রের আসলে তেমন কিছুই করার নেই। ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে সরে আসার পর ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আবার সেই সাপেনেউলে। যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে চলে আসার পরপরই উপসাগরে একটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করে। যেকোনো হামলার জন্য প্রস্তুত রেখেছে বি-৫২ যুদ্ধবিমান। এ ছাড়া বাহরাইন, কুয়েত, সিরিয়া, ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। কিন্তু ঘটনা ঘটে গেছে। মে ও জুনে ওমান উপসাগরে ছয়টি তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটে। কেউ এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার না করলেও যুক্তরাষ্ট্র এর পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। কথাটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এমনকি ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় উপসাগরে এ ধরনের হামলা চালানো হতো। ২০ জুন হরমুজ প্রণালির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের একটি সর্বাধুনিক সামরিক ড্রোন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এটা আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল। ইরান বলেছে, এটা তাদের সীমানা হানা দিয়েছিল। এসব ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, ইরানও কোনো ছাড় দেবে না। পারমাণবিক কর্মসূচিবিষয়ক ওয়াচডগ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) গত ১ জুলাই নিশ্চিত করেছে যে, ইরান তার চুক্তি ভঙ্গ করে নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করছে। ইরানকে জ্বালানি খাতে ব্যবহার উপযোগী ইউরেনিয়াম আহরণের মাত্রা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইরান এর চেয়ে বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম মজুদ করছে। পারমাণবিক বোমা বানাতে লাগে ৯০ শতাংশ ইউরেনিয়াম। আইএইএর এই তথ্য অনুযায়ী, শত বাধাবিপত্তি ও নিষেধাজ্ঞার মুখেও যেহেতু তারা এই প্রকল্প ছেড়ে নড়ছে না, এটা পরিষ্কার যে, অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ইরান তার বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় জোরালোভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের এসব স্থাপনায় পরিদর্শনে আসতে দেওয়া হবে না। রুহানি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, সব নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেওয়া পর্যন্ত কোনো আলোচনা নয়। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি এমন একপর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে কিছুতেই অবাধে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে দেবে না। ইরানও যেকোনো মূল্যে এ কর্মসূচিতে অটল থাকবে?

তাহলে এর ভবিষ্যৎ পরিণাম কী? ইরানকে কী তার ব্যয়বহুল পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য তেলের টাকার ওপর নির্ভর করতে হবে। নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন তেল রফতানি বাধাগ্রস্ত। এ ক্ষেত্রে বিকল্প পথ বেছে নেবে তারা। গোপনে তেল বিক্রির চেষ্টা চালাবে। বর্তমানে অস্ত্র কেনার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইরান বাইরে থেকে কোনো অস্ত্র কিনতে পারছে না। ২০২০ সালের অক্টোবরে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে। সেদিকে তাকিয়ে ইরান। এর মধ্যে নতুন অস্ত্র কেনার তোড়জোড় করছে। ইরানের বিমান শিল্প সংস্থার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল করিম বানিতারাফি বলেছেন, রাশিয়া ও চীন বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান রয়েছে। ইরানের ঘনিষ্ঠ এই দুই মিত্র তাদের জন্য বড় শক্তি। কাজেই উপসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের টক্কর পরিণামে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটাতে পারে; বিশেষ করে সশস্ত্র যুদ্ধ।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close