আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফ্রিজ থেকেই অগ্নিকান্ড গ্রেনফেলে
ঘটনার ১০ দিনের মাথায় নিশ্চিত হওয়া গেল আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে। লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগার পর প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, কোনো ফ্রিজারের আগুন থেকেই ভয়াল রূপ নিয়ে লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে গ্রেনফেল টাওয়ারকে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তেও উঠে এলো, আগুন লাগার পেছনে দায়ী ওই ফ্রিজার। কিন্তু সেই আগুনকে মারাত্মক আগ্রাসী করে তুলতে অনেক বড় ভূমিকা ছিল গ্রেনফেল টাওয়ারের বাইরে নির্মাণ-সজ্জায় (ক্ল্যাডিং) ব্যবহৃত সামগ্রীর।
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে গত শুক্রবার বলেছেন, গ্রেনফেলের ওই ক্ল্যাডিংয়ের মতো একই জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে লন্ডনের অন্তত তিনটি ব্লকে। এসব ব্লকের ৬০০ বহুতল খবনে আছে সেই মরণফাঁদ। গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ড নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হতে প্রশ্নের মুখে সেসব বহুতল ভবন নিয়েও। এখন পর্যন্ত গ্রেনফেল বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা ৭৯। উদ্ধারকাজ অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ার পরেও কেউ নিশ্চিন্তে বলতে পারছেন না, যে আর মৃতদেহ উদ্ধার হবে না সেখান থেকে। আপাতত মেট্রোপলিটান পুলিশের দাবি-ওই বহুতলের বাইরের নির্মাণে সঠিক গুণমান রাখা হয়নি। তাই এবার এ ঘটনায় তারা খুনের মামলা দায়ের করার কথা ভাবছে। হটপয়েন্ট-এর ফ্রিজার ছিল গ্রেনফেল টাওয়ারে। ওয়ার্লপুলের অধীনস্ত সংস্থা হটপয়েন্ট। সরকার এখন ওই ফ্রিজারটিও পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। ওয়ার্লপুল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে: ‘যারা প্রিয়জন, নিজের ঘর, সহায়-সম্বল-সব হারিয়েছেন, সেই আক্রান্তদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।’ তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। এ ব্যাপারে কাজে লাগানো হয়েছে ২৫০ জন বিশেষ তদন্তকারীকে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানিয়েছে, শুধু খুনের অভিযোগ নয়, খতিয়ে দেখা হতে পারে অন্য সব অপরাধের মাত্রাও। অর্থাৎ আবাসনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অগ্নিবিধি এবং সাধারণ নিরাপত্তার দিকগুলোও তদন্ত করে দেখা হবে।
"