আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৬ মে, ২০১৯

অতিরিক্ত ভিড়

এভারেস্টে ৭ আরোহীর মৃত্যু

জন-জটের কবলে পড়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। একসঙ্গে অনেক মানুষ পর্বতারোহণ করতে গিয়ে তীব্র সংকটের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এভারেস্টের চূড়া থেকে নামতে গিয়ে সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে আরো তিন পর্বতারোহীর। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাতজন পর্বতারোহী মারা গেছেন এভারেস্টের বুকে।

গত বৃহস্পতিবার এভারেস্ট জয় করে নামার পথে এই তিন পর্বতারোহী মারা যান। মারা যাওয়া পর্বতারোহীদের মধ্যে দুজন ভারতের ও একজন অস্ট্রিয়ার নাগরিক। নিহতরা হলেন ভারতের কল্পনা দাস (৫২) ও নিহাল বাগওয়ান (২৭)। ৬৫ বছর বয়সি অস্ট্রিয়ান নাগরিকের পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ভারতের দুজন নেপালের দিক দিয়ে ও অস্ট্রিয়ার পর্বতারোহী উত্তর তিব্বতের দিক দিয়ে এভারেস্ট জয় করেছিলেন।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এভারেস্টের চূড়ায় প্রচ- ভিড়ে আটকে অক্সিজেন সংকটে পড়ে মারা গেছেন এই পর্বতারোহীরা। এদিকে, স্থানীয় এক সংগঠক কেশব পাউডেল এএফপিকে জানিয়েছেন, ভিড়ের কারণে তারা এভারেস্টের চূড়ায় প্রায় ১২ ঘণ্টা আটকে ছিলেন। এরপর তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

এর আগে গত বুধবার বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রাণ হারিয়েছিলেন একজন ভারতীয় ও একজন মার্কিন নাগরিক। ছবি তোলার সময় চূড়া থেকে পড়ে প্রাণ হারান ৫৫ বছর বয়সি মার্কিন নাগরিক ডোনাল্ড লিন ক্যাশ। আর চূড়ায় পৌঁছে নেমে আসার সময় মারা যান ভারতীয় নাগরিক অঞ্জলি কুলকার্নি, তার বয়সও ৫৫ বছর।

যে সংস্থার সঙ্গে অঞ্জলি এ অভিযানে গিয়েছিল তারা বলছে, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে তার নামতে বেশি সময় লেগেছে। আর এতেই তার মৃত্যু হয়েছে। চূড়ায় উঠতে যাওয়ার সময়ও তাকে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে, নামার সময়ও লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। নামার সময় সে নিজে আর চলতে পারছিল না। শেরপারা তাকে নামিয়ে আনছিলেন। তবে নামার আগেই মারা যান তিনি। গত সপ্তাহে আরো এক ভারতীয়র প্রাণ গেছে। ১৬ মে একজন আইরিশ অধ্যাপকও একইভাবে মারা যান।

গত বুধবার ভালো আবহাওয়ার সুবিধা নিয়ে চীন ও নেপাল দুই প্রান্ত থেকে ২০০-এর বেশি পর্বতারোহী এভারেস্টের চূড়ায় উঠার অভিযান শুরু করে। এর ফলে একবারে অনেক বেশি মানুষ হয়ে যাওয়ার কারণে চূড়ায় উঠতে ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার উচ্চতায় পর্বতারোহীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টার অপেক্ষা করে থাকতে হয়। এতে তাদের ফ্রস্টবাইট ও উচ্চতাজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই মৌসুমে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্বতারোহী এভারেস্টে উঠার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে নেপাল ৩৮১ জন পর্বতারোহীকে এভারেস্টে উঠার অনুমতি দিয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close