আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৪ অক্টোবর, ২০১৮

ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের ২০ মিলিয়ন ডলার দেবেন ব্লুমবার্গ

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন সিনেট নির্বাচনে বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ২০ মিলিয়ন ডলার দেবেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ধনকুবের মাইকেল ব্লুমবার্গ। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬৭ কোটি ৯৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করতে তাদের এ তহবিল দেওয়া হবে। মঙ্গলবার মাইকেল ব্লুমবার্গের মুখপাত্র মার্ক লা ভর্গনা এ তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। আগামী ৬ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে বর্তমানে রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও বড় দুই দলের ব্যবধান খুবই সামান্য।

ফলে ডেমোক্র্যাট শিবিরে নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গের বড় অঙ্কের অনুদান কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে রিপাবলিকান সমর্থকদের। কেননা, ডেমোক্র্যাটরা শেষ পর্যন্ত বড় তহবিলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে রিপাবলিকানদের জন্য সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন হবে।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের জন্য মাইকেল ব্লুমবার্গের অনুদানের খবর প্রথম প্রকাশ করে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এর আগে চলতি বছরের গোড়ার দিকে দলটির প্রার্থীদের জন্য ৮০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মাইকেল ব্লুমবার্গ।

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে প্রথম দফায় প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন ধনকুবের মাইকেল ব্লুমবার্গ। ২০০২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে সমকামী বিয়ে ও অস্ত্র বিক্রি ইস্যুতে ২০০৭ সালে রিপাবলিকান পার্টি ছেড়ে স্বতন্ত্রভাবে কাজ শুরু করেন। এখন ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে ট্রাম্পের নীতির এই কট্টর সমালোচক এই ধনকুবেরকে।

২০১৮ সালের এপ্রিলে বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তির প্রতি নিজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন মাইকেল ব্লুমবার্গ। এর অংশ হিসেবে জলবায়ু চুক্তির জন্য ব্যক্তিগতভাবে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

২০১৭ সালে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। প্রথম থেকেই ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন মাইকেল ব্লুমবার্গ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close