আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কাশ্মীরি নারীদের হিজবুল
সেনাবাহিনীর ‘মধুর ফাঁদে’ পা দেবেন না
কাশ্মীরের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদীন সেখানকার নারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তারা যেন ভারতীয় সেনা সদস্যদের সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না রাখে। একটি হোটেলে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা লিতুল গগৈ এবং এক কাশ্মীরি নারীর সাক্ষাৎ নিয়ে বিতর্ক তৈরির পর সেখানকার নারীদের এই সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়। মুজাহিদীন নেতাদের দাবি, বিদ্রোহীদের ধরতে ভারতীয় সেনারা কাশ্মীরি নারীদের ‘মধুর ফাঁদ’-এ ফেলছে এবং তাদের গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করছে। হিজবুল মুজাহিদীনের অডিও বার্তাকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর গগৈ, এক কাশ্মীরি নারী এবং তৃতীয় এক ব্যক্তিকে শ্রীনগরের একটি হোটেল থেকে আটক করে পুলিশ। হোটেলে রুম পাওয়া নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে তাদের সাময়িক আটক করা হয়। পরে ওই নারী এক ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন, মেজর গগৈ তার ‘ফেসবুক বন্ধু’। নিজের ইচ্ছাতেই তিনি মেজর গগৈর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর হিজবুল মুজাহিদীনের পক্ষ থেকে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। বার্তায় হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু সতর্ক করেছেন, ‘সেনাবাহিনীর এতটাই অধঃপতন হয়েছে যে তারা গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহারের জন্য কাশ্মীরি নারীদেরকে মধুর ফাঁদে ফেলছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে, সেনাবাহিনী মেয়েদের প্রলোভন দেখাচ্ছে এবং মুজাহিদীনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি করার কাজে ব্যবহার করছে। সেনাবাহিনী মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করছে এবং তাদের আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইকুর ওই অডিও ক্লিপটি এরইমধ্যে কাশ্মীর উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে। অডিওতে নাইকু আরো অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন ট্যুরে যেতে স্পন্সরশিপ প্রদান করছে সেনাবাহিনী। ওইসব ট্যুরে যাওয়া নারীদের গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করতে স্পন্সরশিপকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। এ ধরনের ট্যুরে মেয়েদের না পাঠানোর জন্য কাশ্মীরের মা-বাবাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাইকু। সদ্ভাবনা বা গুডউইল মিশনের আওতায় কাশ্মীরের শিশুদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। এ ধরনের কর্মসূচিতে যোগদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন নাইকু। তিনি বলেন, ‘যেসব মা-বাবা তাদের মেয়েদের সেনাবাহিনী আয়োজিত ট্যুরে পাঠাবে তাদের আমরা ছাড়ব না। শিক্ষকরাও যদি সেনাবাহিনী আয়োজিত ট্যুরে যেতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করেন তবে তাদের পরিণতিও ভালো হবে না।
"