আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের পর দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুনের সঙ্গে কথা বলবেন কিম
কিম-মুন আলোচনায় কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ, শান্তি-সুস্থিতি বজায় রাখার মতো বিষয় গুরুত্ব পাবে
কিম জং উনের বেইজিং সফর ঘিরে চাঞ্চল্য শেষ হতে না হতেই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, আগামী ২৭ এপ্রিল দেশের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে দেখা করবেন কিম। দুই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে সোল ও পিয়ংইয়ংয় আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠকের পরে এই কথা জানানো হয়েছে। ৪ এপ্রিল দুই দেশের আধিকারিকরা আর এক প্রস্ত আলোচনা করবেন। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে মাত্র দুইবার মুখোমুখি হয়েছেন দুই কোরিয়ার নেতারা, ২০০০ এবং ২০০৭ সালে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পরে দক্ষিণ কোরিয়ার সংযোগকারী মন্ত্রী চো মিয়-গিয়ন বলেছেন, ‘দুপক্ষই চায় আন্তরিক আলোচনা হোক। কিম-মুন আলোচনায় কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ, শান্তি-সুস্থিতি বজায় রাখার মতো বিষয় গুরুত্ব পাবে।’
উত্তর কোরিয়ার সরকারি প্রতিনিধি রি সন গোওনের নেতৃত্বে তিন জন ছিলেন এ দিনের বৈঠকে। তারাও কিম-মুনের মধ্যে ইতিবাচক বৈঠকের আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনার জন্য পরবর্তীকালে টেলি সংযোগে হটলাইন তৈরি করার কথা ভাবা হবে। রি বলেছেন, গত ৮০ দিনে নজিরবিহীন ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষী দুই দেশ। দক্ষিণের পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের আগে থেকেই কথা শুরু হয় দুই দেশে। কূটনীতিকরা মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলার আগে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে কিম ও শি’র আলোচনাতেও।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বেইজিং, সোল, ওয়াশিংটন এবং ভবিষ্যতে মস্কো ও টোকিয়োÑ প্রতি ক্ষেত্রেই আলাদা করে আলোচনা চালিয়ে উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য, এসব দেশের মধ্যে জোটশক্তির সম্ভাবনাকে নষ্ট করা। অন্যতম মিত্র দেশ চীনকে হাতে রেখে এখন পিয়ংইয়ং চাইছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার ওপরে ‘চাপ’ তৈরি করতে। কূটনীতিকদের ধারণা, পরমাণু অস্ত্র প্রকল্পের জেরে মাথার ওপরে চেপে বসা নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ কিম নিশ্চয়ই তুলেছেন বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনায়। তারা বলছেন, শুধু প্রসঙ্গ তোলা নয়, ভবিষ্যতে ওয়াশিংটন এবং সোলের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হলে যদি ফের নিষেধ চাপানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, চীন যেন তা ঠেকানোর চেষ্টা করে- এ প্রতিশ্রুতিও বেইজিংয়ের কাছ থেকে আদায় করেছে উত্তর কোরিয়া। কারণ, তাদের মতে, পিয়ংইয়ং নিরস্ত্রীকরণের কথা মুখে যতই বলুক, কার্যক্ষেত্রে তারা কতটা সেটা করবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
"