নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ জুলাই, ২০১৯

এবার চামড়ার দাম ঠিক হবে আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী

কয়েক বছর ধরে ট্যানারি মালিকদের নানা কারসাজির কারণে কোরবানির কাঁচা চামড়ার সঠিক দাম নিশ্চিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই এবার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষের চামড়ার পৃথক দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা ও ফিনিশড চামড়ার দাম কি অবস্থায় রয়েছে তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে ট্যারিফ কমিশন। পুরো তথ্য পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত কয়েক বছর ধরে কাঁচা চামড়া নষ্ট হওয়ার পরিমাণ বাড়ছে। শুধু গত বছরই লবণের অভাবে ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া কেটে-ছিঁড়ে আরো কয়েকশ’ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১ কোটি ৫ লাখ গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। এবার দেশের খামারগুলোতে কোরবানিযোগ্য পশু আছে প্রায় সোয়া কোটি। ওই হিসাবে চাহিদার তুলনায় বেশি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে।

জানা যায়, কোরবানির কাঁচা চামড়া সংগ্রহে এবার সাভারের ১৫৫টি ট্যানারি সার্বিকভাবে আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বছরে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া। মোট চামড়ার অর্ধেকের বেশি সংগ্রহ ও মজুদ করা হয় কোরবানির ঈদের সময়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিদিনের সংবাদকে এ বিষয়ে বলেন, এবার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে চামড়া কিনতে হবে ট্যানারি মালিকদের। কাঁচা চামড়ার সঠিক দাম নিশ্চিত করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করা হবে কোরবানিতে। কারণ সঠিক দাম নিশ্চিত না হওয়ার কারণে কোরবানিদাতারা কাঁচা চামড়া নিয়ে তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। যেনতেনভাবে কেটে-ছিঁড়ে চামড়া পশু থেকে খুলে নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া পশু থেকে সংগ্রহের পরই তাতে লবণ মিশাতে হয়। কিন্তু ন্যায্য দাম না পাওয়ায় অনেকেই চামড়া নষ্ট করে ফেলছেন বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close