প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ জুন, ২০১৯

মুরগির জিন সংশোধন করে বার্ড ফ্লু মোকাবিলা!

বিজ্ঞানীরা জিনপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন মুরগি জন্ম দেবেন যার দেহে বার্ড ফ্লু বাসা বাঁধতে পারবে না। মুরগির জিন এডিট করে সেই পথে এক ধাপ এগিয়েও গেছেন তারা।

অন্তত ১০০ বছর ধরে বিশ্বে বড় এক আতঙ্কের নাম বার্ড ফ্লু। সর্বশেষ ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়েছিল এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাস। তবে পাখিবাহিত ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে। তখন একই ভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছিল প্রায় ৫ কোটি মানুষ।

আবার বার্ড ফ্লুর এমন হানার আশঙ্গা থেকে বিশ্বকে দূরে রাখার উপায় দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। এতদিন নিশ্চিত কোনো উপায় তারা খুঁজে পাননি। তবে অবশেষে বিগুটেনের ই¤েপরিয়াল কলেজ এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসলিন ইনস্টিটিউটের গবেষকরা তেমন সাফল্যই পেতে চলেছেন। পরীক্ষাগারে মুরগির ছানার ডিএনএর একটি অংশ থেকে এএনপি৩২ প্রোটিন সরাতে পেরেছেন তারা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রোটিনেই বার্ড ফ্লুর ভাইরাস আশ্রয় নেয়। সুতরাং এই প্রোটিন মুরগির ডিএনএ থেকে সরানোর ফলে মুরগি ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে একেবারে মুক্ত।

গত ৪ জুন বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ইলাইফে এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। সেখানে রসলিন ইনস্টিটিউটের গবেষক মাইক ম্যাকগ্রিউ জানিয়েছেন, তাদের পরবর্তী লক্ষ্য জিন-এডিটিং টেকনোলজির মাধ্যমে এমন মুরগি জন্ম দেয়া যা বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হবে না। ইলাইফকে তিনি বলেছেন, এটা (গবেষণায়) এমন এক অগ্রগতি যার ফলে আমরা এখন জিন-এডিটিং টেকনোলজি ব্যবহার করে বার্ড ফ্লু-প্রতিরোধী মুরগি জন্ম দেয়ার আশাও করতে পারি। মাইক ম্যাকগ্রিউ অবশ্য এও জানিয়েছেন যে, এখনো সেই ধরনের মুরগির ছানা জন্ম দেওয়া সম্ভব হয়নি। তা করার আগে এডিট করা ডিএনএ মুরগির দেহে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান বিজ্ঞানীরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close