মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে মাটিবোঝাই ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ মাটিকাটা কাজে আসা ২০ শ্রমিকের মধ্যে পাবনার ১৭ জনের সন্ধান এখন পর্যন্ত পায়নি উদ্ধারকারী দল। গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোনো সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ এ শ্রমিকদের। এদিকে পাবনার নিখোঁজ ১৭ জনের বাড়িতে এখনো চলছে মাতম। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে আসছে এলাকার বাতাস। এই প্রতিবেদক গতকাল সরেজমিনে নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়িতে গেলে এ করুণ দৃশ্য চোখে পড়ে।

মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোবাশশেরুল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বাকি সদস্যরা হলেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল, সংশ্লিষ্ট এলাকার কোস্টগার্ড কর্মকর্তা, নৌ-পুলিশের কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ও জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক কর্মকর্তা। গতকাল শুক্রবার কমিটি গঠনের তথ্য নিশ্চিত করেন কমিটির প্রধান।

কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোবাশশেরুল ইসলাম জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারের পর তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে। এর মধ্যে ট্রলারে থাকা জীবিত শ্রমিকদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে মালবাহী যে ট্যাংকার ধাক্কা দিয়েছিল সেটিকে খুঁজে বের করে আটক করতে। তাহলে তাদের বক্তব্যসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়া যাবে।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক জানান, আমরা নদীর নিচে একটি ইমেজ পেয়েছি। পিনপয়েন্টের জন্য আরো ইকুয়েপমেন্ট আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে নৌবাহিনীর উন্নতমানের নতুন জাহাজ আসছে। এটি আনলে পুরোপুরি নিশ্চত হওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, মাটিবোঝাই ট্রলারটি কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দিকে যাচ্ছিল। এর অধিকাংশ শ্রমিক ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা চাঁদপুরগামী মালবাহী জাহাজটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় ডুবে যায় মাটিবোঝাই ট্রলারটি। ৩৪ শ্রমিকের মধ্যে ১৪ পাড়ে উঠতে পারেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনেরই বাড়ি পাবনায়। এদিকে তিন দিনেও তাদের সন্ধান না পাওয়ায় স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।

"