মেহেরপুর প্রতিনিধি

  ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯

মেহেরপুরে গমে ব্লাস্ট নির্মূলে গবেষণা শুরু

সাফল্যের আশা বিজ্ঞানীদের

গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে মেহেরপুরে মাঠপর্যায়ে গবেষণা শুরু করেছে ১২ সদস্যর একটি বিজ্ঞানী দল। বিদেশি ৪৮টি গমের জাত এবং লাইন নিয়ে চলছে গবেষণা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সফল হলে গম চাষে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নির্মূল হবে হুইট ব্লাস্ট রোগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের মাঠে চলছে ব্লাস্ট প্রতিরোধী গবেষণা কার্যক্রম। ম্যাক্সিকো থেকে সংগ্রহ করা ৪৮টি গমের জাত নিয়ে মাঠ পর্যায়ে গবেষণা করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ১২ জনের একটি বিজ্ঞানী দল। দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের বালাইনাশক সংগ্রহ করে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে গমের খেতে। গমের বীজ বপন থেকে শুরু করে সংগ্রহ করা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এখান থেকেই বেরিয়ে আসবে ব্লাস্ট প্রতিরোধী গমের জাত। সরবরাহ করা হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এর ফলে গম চাষ করে আর ক্ষতির মুখে পড়বেন না কৃষক। কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষকরা জানান, গত কয়েক বছর ধরে মেহেরপুরে ব্যাপক হারে গমে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। ব্লাস্ট আক্রান্ত জমির গম অল্প সময়ে জমির সব গম ব্লাস্ট আক্রান্ত হয়। কৃষকদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে গত দুই বছর ধরে গম চাষ না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছিলেন কৃষি বিভাগ। কিন্তু ক্ষতি স্বীকার করেও সে বারণ কানে নেয়নি কৃষক।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) গবেষক হুমায়ন কবীর, (পিএইচডি ফেলো) জানান, গমে ব্লাস্ট মেহেরপুরে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এ কারণে এখানে কৃষক পর্যায়ে মাঠ বেছে নিয়ে দেশি ও বিদেশি উপকরণ সংগ্রহ করে এখানে ব্লাস্ট প্রতিরোধে গমের গবেষণা চলছে। সফল হলে ব্লাস্ট রোগ নিয়ে আর কোনো চিন্তা থাকবে না। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, মেহেরপুরে প্রথম ২০১৬ সালে গমে ব্লাস্ট রোগ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ব্লাস্ট প্রতিরোধে কাজ শুরু করে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন। সর্বোপরি ব্লাস্ট নির্মূলে সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা মাঠে এই প্রথম মাঠ পর্যায়ে বিজ্ঞানীরা গমের ওপর গবেষণা করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close