কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অপহৃত স্কুলছাত্র আশিকের (১৪) হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাক্সবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আশিকের প্রতিবেশী মিশুকের বাড়ির বাক্সের মধ্য থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আশিক ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের কুতুব উদ্দিনের ছেলে এবং ধরমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আশিকের পিতা কুতুব উদ্দিন জানান, গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমার বাড়ি থেকে পাশর্^বর্তী বাড়ির মিশুক (২৩) আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে দিয়ে দুবার সিগারেট কিনে আনায় এবং দুপুর পর্যন্ত আশিক মিশুকের বাড়িতেই ছিল। পরে বিকেল ৪টা ৪৮ মিনিটে আমার মোবাইলে একটা কল আসে। সেখানে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলে ‘তোর ছেলে আশিক আমার কাছে আছে, আধা ঘণ্টার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ম্যানেজ করে আমাকে দিবি। তা না হলে তোর ছেলেকে আমি মেরে ফেলব’Ñ এই বলে ফোনটা কেটে দেয়। পরে আমার ছেলেকে খুঁজতে মিশুকের বাড়িতে গিয়ে সেখানে আশিক নেই। সেই সঙ্গে মিশুকও নেই। তারপর আমি মিশুকের ছোট ভাই আসিফকে জিজ্ঞাসা করি তোমার ভাই কোথায়। সে জানায় তার ভাই শ্বশুরবাড়িতে গেছে। আমি মিশুককেও ফোন দিই এবং সে বলে তার কাছে আশিক নেই। আমি মিশুকের ছোট ভাই আসিফকে বলি যে নাম্বার থেকে আমার কাছে টাকা চেয়েছে এই নাম্বার চেনা কারো কি না। তারপর সে মোবাইলে নাম্বার তুললে দেখা যায়, এটা তার বড় ভাই মিশুকের মোবাইল নাম্বার। পরে আমি ভেড়ামারা থানায় মামলা করি।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাহীন জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা মিশুক ও আসিফকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। এতে মিশুকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মিশুকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একটি বাক্সের মধ্যে আশিকের মরদেহ উদ্ধার করি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

"