চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ২১ অক্টোবর, ২০১৮

দখল-দূষণ থেকে কাপ্তাই লেক রক্ষা করতে হবে

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

যেকোনো মূল্যে দখল ও দূষণের কবল থেকে কাপ্তাই লেককে রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত কর্ণফুলী হ্রদ (কাপ্তাই লেক) পরিচালনা উপদেষ্টা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস সভার আয়োজন করেন। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের কারণে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে মৎস্য প্রজাতিসহ আশপাশের এলাকায় ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া কচুরিপানা, শিল্প-কারখানা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও বাড়ি-ঘরের বর্জ্য ফেলার কারণে কাপ্তাই লেক দূষিত হচ্ছে। হারাতে বসেছে লেকের নাব্যতা ও ঐতিহ্য।

তিনি বলেন, কচুরিপানা পরিষ্কারের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের একটি হারভেস্টার মেশিন থাকলেও কাপ্তাই বিদ্যুৎ বিভাগ সেটি নিয়মিত ব্যবহার না করায় লেকের কাপ্তাই সদর এলাকা ছাড়া অন্যান্য স্থানে কচুরিপানার জট বেঁধেছে। কচুরিপানার কারণে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ইঞ্জিনচালিত নৌকা করে কাপ্তাই টু রাঙামাটি লেকে বেড়াতে গিয়ে কচুরিপানার জটে পড়ছে। ফলে তারা আনন্দ বিমুখ হচ্ছে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কাপ্তাইস্থ কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় লেভেল মোতাবেক পানি ধারণ করে রাখার বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে কাজ করতে হবে। আমরা জলবিদ্যুৎ ও কৃষিজাত দ্রব্যের উৎপাদনকে প্রাধান্য দেব। কাপ্তাই লেকে অতিরিক্ত পানি ধারণ করে রাখার কারণে আশপাশের এলাকার ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম (খাগড়াছড়ি), এ কে এম মামুনুর রশিদ (রাঙামাটি), মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন (চট্টগ্রাম), কর্ণফুলী পার্বত্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, চট্টগ্রাম বন্দরের হাইড্রোগ্রাফার মো. সামসুল আরেফিন, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী কানাই চন্দ্র দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী (পিজিসিবি) নুর উদ্দিন মোহাম্মদ ফরহাদ চৌধুরী, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমা, রাঙামাটি সার্কেলের উপ-বন সংরক্ষক মো. মাকসুদ আলম, খাগড়াছড়ি হেডম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ প্রীতি চাকমা ও খাগড়াছড়ি ইউপি ফোরামের আহ্বায়ক চেয়ারম্যান হিরন জয় ত্রিপুরা। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে কর্ণফুলী হ্রদ (কাপ্তাই লেক) সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরেন বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সিনিয়র সহকারী কমিশনার অভিষেক দাশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close