আদালত প্রতিবেদক

  ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

যুক্তিতর্কে আইনজীবী

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল হোতা তারেক

‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলার টার্গেট ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তাকে হত্যা করাই ছিল গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য। আর এর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তারেক রহমান। অন্য দেশে হলে এ ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আর রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে সব আসামির ফাঁসি হতো।’ গতকাল মঙ্গলবার মামলার আইনি পয়েন্টের শুনানিতে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে এসব কথা বলেন।

এ সময় এ মামলায় জামিনে থাকা সব আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন অ্যাডভোকেট কাজল। এ ছাড়া সবার সর্বোচ্চ শাস্তিও দাবি করেন তিনি। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে হাওয়া ভবনে এ হামলার ষড়যন্ত্র হয়। সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্য আসামিরা এ ষড়যন্ত্র করেন। সব আসামির একই অভিপ্রায় ছিল শেখ হাসিনাসহ সব আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করা। তাই দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’

পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত যুক্তিতর্ক মুলতবি করেন।

মামলাটি প্রমাণে চার্জশিটের ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

এ মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলার অন্যতম আসামি সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৪৯ জন। এর মধ্যে আটজন জামিনে, ১৮ জন পলাতক ও ২৩ জন কারাগারে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। তবে তার শ্রবণশক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close