পাঠান সোহাগ
ইফতারের স্বাদ সুতি কাবাবেই!
বৈচিত্রময় ইফতারিতে অনন্য সংযোজন হলো কাবাব। পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে শুরু করে অভিজাত এলাকা গুলশান, ধানমন্ডি, নতুন ঢাকাসহ সবখানেই কদর আছে কাবাবের। তবে ইফতারের স্বাদ সুতি কাবাবের মধ্যেই খুঁজে থাকেন অনেকে। গতকাল সরেজমিনে পুরান ঢাকার চকবাজারে গিয়ে দেখা যায়, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে কাবাবের বেশ কয়েকটি দোকান আছে। মুরগি, খাসি ও গরুর মাংসের কাবার, সুতি কাবাব, শিক কাবাব, টিক্কা কাবাব, ইরানি শিক কাবাবসহ নানা রকমের কাবাব পাওয়া যাচ্ছে। এখানে ক্রেতাদের বেশির ভাগই কাবাব কিনছিলেন। মেহেদী হাসান কাজ করেন পুরান ঢাকায়। কাজ শেষে করে কেরানীগঞ্জ ফিরছিলেন। তিনি জানান, তার পছন্দের একটি খাবার সুতি কাবাব। এটি স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। প্রতিদিন ইফতারে সুতি কাবাব রাখার চেষ্টা করেন তিনি। মধুবাগ থেকে এসেছেন শামীম আহমেদ। তিনি টিক্কা কাবাব কিনেছেন। চকবাজার থেকেই প্রায় দিন ইফতার কিনেন। তিনি জানান, ইফতারের সময় কাবাবজাতীয় কোনো আইটেম না থাকলে মনে হয় অপূর্ণ থেকে গেল। আরিফ নামের আরেকজন বলেন, কাবার বৃদ্ধ মায়ের পছন্দ। তাই নিতে হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ চকবাজারের বিভিন্ন দোকানো এক কেজি সুতি কাবাব বিক্রি করছেন ৭০০ টাকায়। গরুর জালি কাবাব ৬৫০ থেকে এক হাজার টাকা এবং খাসির কাবাব ৭৫০ থেকে ১২ ’শ টাকা, শিক কাবাব প্রতিটি ৮০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
চকবাজারে ৪২ বছর সুতি কাবারের ব্যবসা করে আসছে জম্মন রুটিওয়ালা ও তার পরিবার। জুম্মন রুটিওয়ালার তৃতীয় প্রজন্ম বাবুল মিয়া র্তমানে এ ব্যবসার হাল ধরেছেন। তিনি বলেন, বংশপরম্পরায় সুতি কাবাব বানিয়ে আসছে তার পরিবার। দাদা জুম্মন রুটিওয়ালাকে সবাই এক নামেই চেনতেন। সব সময় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকত। বাবুল জানান, সুতি কাবাবের সঙ্গে পরিবারের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। চাইলেও বাবা-দাদাকে আলাদা করা যাবে না। তাদের হাত ধরে চকবাজারে সুতি কাবাব এসেছে বলে দাবি করেন বাবুল মিয়া।
সুতি কাবাব কিভাবে বানানো হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বানাতে মাংস আর বুটের ডাল লাগে। সেটা গরু কিংবা খাসির মাংস হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন মসলা তো আছেই। সঙ্গে খাঁটি ঘি হলে আরো স্পেশাল হয়।
"