মেহেরপুর প্রতিনিধি
ধোঁকাবাজি প্রেমের ফাঁদ
প্রেমের নামে ধোঁকাবাজির ঘটনা ঘটেছে মেহেরপুরে। এক প্রেমিকযুগলের পরিচয় ঘটে চলন্ত বাসে। এক মাসের আলাপচারিতায় দুজনের প্রেম। একপর্যায়ে দুজন সিদ্ধান্ত নেয় ঘর ছেড়ে পালিয়ে একে অন্যের জীবনসঙ্গী হবে। সেই কথামতো মেয়েটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রেমিকের কাছে আসে। এরপর প্রেমিক কৌশলে প্রেমিকার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা বাগিয়ে চম্পট।
মেহেরপুর সদরের আরজ সড়কের কাছে গত সোমবার টাকা নিয়ে কৌশলে প্রেমিকের পালিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটে। প্রতারণার শিকার মেয়েটি মাগুরা জেলার। সে গ্রামের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মেয়েটি জানায়, ‘প্রেমিক’ তার কাছে নিজের পরিচয় দেন রিপন হোসেন (২৮) নামে। বাড়ি মেহেরপুর সদরের আমঝুপি গ্রামে। একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে তাকে জানিয়েছিলেন। এ ঘটনায় মেয়েটি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ জানায়, মাগুরা-যশোরগামী বাসে দুজনের পরিচয়। একে অপরের মুঠোফোন নম্বর আদান-প্রদান করে। মুঠোফোনে এক মাস ধরে চলে দুজনের আলাপ। একপর্যায়ে প্রেম। গত রোববার রিপন মাগুরা বাসস্ট্যান্ড থেকে মেয়েটিকে নিয়ে মেহেরপুর শহরে আসেন। পরদিন সকালে মেয়েটির কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে শহরের আরজ সড়কে বসিয়ে রেখে লাপাত্তা হয়ে যান। দীর্ঘ সময় মেয়েটি অপেক্ষা করেও রিপনের খোঁজ না পেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের নজরে এলে তারা সদর থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে তার অভিভাবকদের খবর দেয়।
মেয়েটি জানায়, রিপন তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাগুরা থেকে নিয়ে এসেছে। গত এক মাস তারা সারা দিন মুঠোফোনে কথা বলেছে। রিপন যে এমন প্রতারক, তা সে বুঝতে পারেনি। মেয়েটি সদর থানায় রিপন হোসেনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিক পুলিশের একটি দলকে নিয়ে আমঝুপি গ্রামে রিপনকে খুঁজে বের করতে অভিযান চালায়। তবে এখনো রিপনকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।
"