ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, মোশাররফ হোসেন মুসা

  ২৬ মে, ২০১৭

‘গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার’ বাস্তবায়ন করা সম্ভব

গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার কী ও কেন : স্থানীয় মানুষের সেবা ও উন্নয়নের জন্য দেশের প্রতিটি স্থানীয় প্রশাসনিক ইউনিটে গণতন্ত্রের ভিত হিসেবে যে স্বাবলম্বী ও স্বশাসিত সরকার ব্যবস্থা থাকে তাকেই গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার বলে। নিয়ম অনুযায়ী স্বশাসিত স্থানীয় সরকার নিজস্ব আয় দ্বারা প্রথমে শতভাগ সিস্টেম কস্ট তথা দাফতরিক খরচ, নির্বাচিত প্রতিনিধি ও অনির্বাচিত কর্মকর্তা-কর্মীদের বেতন-ভাতা, বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল, ইন্টারনেট বিল, আপ্যায়ন ব্যয় ইত্যাদি নির্বাহ করবে এবং একই সঙ্গে নিজস্ব উদ্বৃত্ত আয়ে ও প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা নিয়ে নিজস্ব এলাকায় সেবামূলক ও উন্নয়নমূলক কর্মকা- পরিচালনা করবে। তাই বলা যায়, স্থানীয় সরকার স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া মানেই গোটা দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া এবং স্থানীয় সেবা ও উন্নয়নের মানেই সমগ্র দেশের সমষ্টিগত সেবা ও উন্নয়ন সেবা নিশ্চিত হওয়া। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে প্রথমে স্থানীয় শাসন থেকে জাতীয় শাসন এসেছে। তারপর তারা জাতীয় রাষ্ট্রকে সাম্রাজ্যে বিস্তার করাতে সক্ষম হয়। এদেশেও পূর্বে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রজাতন্ত্র ছিল। এদেশের সীমান্তগুলো ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মতো দুর্গম না হওয়ায় বিদেশিরা খুব সহজে বারবার আক্রমণ করে দেশটিকে দখলে নিয়েছে। ফলে আমাদের দেশীয় শাসকরা নিজেদের রক্ষা করার কাজে ব্যস্ত থাকায় স্থানীয় শাসন কোনো কাঠামো স্বাভাবিক নিয়মে গড়ে উঠতে সক্ষম হয়নি। বর্তমানে অনেকেই স্থানীয় শাসনকে কার্যকর করার কথা বলছেন। কিন্তু স্থানীয় সরকারকে কার্যকর করার জন্য সময় ও দেশোপযোগী একটি নির্দিষ্ট ডিজাইন নিয়ে কেউ কথা বলছেন না। ফলে সর্বস্তরে গণতন্ত্রায়নের পক্ষে বাস্তবতা তৈরি হচ্ছে না। আশার কথা, ২০২০ সাল ও ২০৫০ সাল নাগাদ নগরায়নসহ অন্যান্য পরিবর্তনশীল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে গণতন্ত্রের ভিত হিসেবে স্বাবলম্বী, স্বশাসিত ও গতিশীল স্থানীয় সরকার স্থাপন করতে প্রথমে নিউইয়র্ক প্রবাসী স্থানীয় সরকার গবেষক আবু তালেব তা আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৭ সালের ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে একটি জাতীয় সেমিনারে সবার বিবেচনার জন্য ‘গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের রূপরেখা’ নামক একটি গবেষণা উপস্থাপন করেন। অতঃপর ডিজাইনটি আরও উন্নত ও সময়োপযোগী করে সেটি নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা ও বাস্তবায়নের স্বার্থে গত ২০০৮ সালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে ‘সেন্টার ফর ডেমোক্র্যাটিক লোকাল গভর্ন্যান্স (সিডিএলজি)’ নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ অবস্থায় আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই রূপরেখাটি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব স্থানীয় স্তরে গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্থানীয়করণ অর্থাৎ প্রতিটি স্থানীয় ইউনিটে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দেয়ার মাধ্যমে সমগ্র দেশকে গণতন্ত্রায়নের পথে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

সরকারের নামকরণ ও প্রকারভেদকরণ : বাংলাদেশে বর্তমানে একটিই সরকার, তা হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। একটিমাত্র সরকার থাকায় ‘কেন্দ্রীয় সরকার’ প্রত্যয়টি ব্যবহৃত হওয়া সঠিক নয়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় ‘স্থানীয় সরকার’ নামে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও নগর করপোরেশনকে বোঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এগুলো বাংলাদেশ সরকারের নির্বাহী বিভাগের স্থানীয় এজেন্ট বা শাখা হিসেবে কাজ করছে; এসব স্থানীয় প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের ভিত হিসেবে স্বাবলম্বী ও স্বশাসিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নয় বলে তাদের পরিবর্তে সব স্থানীয় স্তরে স্বাবলম্বী ও স্বশাসিত স্থানীয় সরকার গঠন করতে হবে। সংবিধানে ‘স্থানীয় শাসন’ এর পরিবর্তে ‘স্থানীয় সরকার’ প্রতিস্থাপন করতে হবে এবং আইন, বিধি-বিধান ও বই-পুস্তকের যেসব জায়গায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বোঝাতে শুধু ‘সরকার’ শব্দটি রয়েছে সেসব জায়গায় ‘কেন্দ্রীয় সরকার’ শব্দগুচ্ছ প্রতিস্থাপন করতে হবে। তা করা হলে বাংলাদেশে দুই ধরনের সরকার, তথা কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকারের অস্তিত্ব আইনত প্রতিষ্ঠিত হবে।

স্থানীয় ইউনিট অথবা স্থানীয় সরকারের প্রকারভেদকরণ : বর্তমানে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা, ৪৮৭টি উপজেলা, ৩১৯টি পৌরসভা, ১১টি সিটি করপোরেশন এবং ৪৫৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এসব স্থানীয় ইউনিটগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় :

১. গ্রামীণ স্থানীয় ইউনিট, যেমন-৪,৫৪৩টি ইউনিয়ন এবং ১৭৯টি উপজেলা (৫টি নবগঠিত উপজেলাসহ), কারণ এসব ইউনিট আইনিমতে গ্রামীণ এলাকা নিয়ে গঠিত।

২. নগরীয় স্থানীয় ইউনিট, যেমন-৩১৯টি পৌরসভা ও ১১টি নগর করপোরেশন, কারণ এসব ইউনিট আইনিমতে শুধু নগরীয় এলাকা নিয়ে গঠিত।

৩. গ্রামীণ-নগরীয় স্থানীয় ইউনিট, যেমন-৭টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা ও ৩১৮টি উপজেলা। কারণ এসব ইউনিট গ্রামীণ ও নগরীয় এলাকার সমন্বয়ে গঠিত। সাধারণত গ্রামীণ স্থানীয় ইউনিটে গঠিত স্থানীয় সরকারকে বলা হয় ‘গ্রামীণ স্থানীয় সরকার’, নগরীয় স্থানীয় ইউনিটে গঠিত স্থানীয় সরকারকে বলা হয় ‘নগরীয় স্থানীয় সরকার’ এবং একইভাবে গ্রামীণ-নগরীয় স্থানীয় ইউনিটে গঠিত স্থানীয় সরকারকে বলা হয়, ‘গ্রামীণ-নগরীয় স্থানীয় সরকার’। কিন্তু সরকারি বিধি-বিধান ও পাঠ্যপুস্তকে দুই ধরনের স্থানীয় সরকার, তথা গ্রামীণ স্থানীয় সরকার ও নগরীয় স্থানীয় সরকারের কথা উল্লেখ আছে। উদাহরণ স্বরূপ ৩১৮টি উপজেলা ও ৬৪টি জেলার আয়তনের মধ্যে পৌরসভা ও ৯টি সিটি করপোরেশন রয়েছে। উপজেলার আয়তনের মধ্যে বসবাসরত ভোটারদের ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। আর জেলার আয়তনের মধ্যে স্থানীয় প্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদ প্রশাসক নির্বাচিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে। সে মোতাবেক জেলা ও উপজেলাগুলো গ্রামীণনগরীয় হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে স্থানীয় ইউনিটের নামকরণ যথার্থভাবে করা হয়নি বলে প্রকারভেদকরণও যথার্থভাবে করা সম্ভব হয়নি। ফলে ক্ষমতা ও দায়িত্ব যথার্থভাবে নির্ধারিত ও বণ্টিত হয়নি।

প্রস্তাবিত একটি সমন্বিত স্তরবিন্যাসকরণ : স্থানীয় সরকার এক স্তরবিশিষ্ট হলে স্তরবিন্যাসকরণের বিষয়টি কখনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতো না। এটি বহু স্তরবিশিষ্ট হওয়ার কারণে সমন্বিত স্তরবিন্যাসকরণের কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটিকে একটি তত্ত্বগত ফর্মুলায় বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে প্রণয়ন করতে হবে, যা মোগল-পূর্ব, মোগল, ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমল মিলে অদ্যাবধি করা সম্ভব হয়নি। তত্ত্বগতভাবে প্রদর্শিত রেখাচিত্র অনুযায়ী ‘জেলা’ গ্রামীণ-নগরীয় চরিত্র নিয়ে স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান হতে পারে। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে গ্রামীণ-নগরীয় স্থানীয় সরকার হিসেবে ‘জেলা সরকার’ হিসেবে কার্যকর থাকবে। তার একদিকে থাকবে গ্রামীণ স্থানীয় সরকার অর্থাৎ উপজেলা সরকার (যদি প্রয়োজনীয়তা থাকে) ও ইউনিয়ন সরকার এবং অন্যদিকে থাকবে নগরীয় স্থানীয় সরকার অর্থাৎ পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলোতে একরূপ ‘নগর সরকার’। এক্ষেত্রে শুধু ইউনিয়ন নয়, উপজেলার এলাকার মধ্যে কোনো নগরীয় এলাকা (পৌরসভা) থাকবে না; তাতে ইউনিয়ন ও উপজেলা সম্পূর্ণভাবে গ্রামীণ ইউনিট হবে। পৌরসভা ও নগর করপোরেশনগুলো শুধু নগর হিসেবে আখ্যায়িত হবে এবং সেখানে এক ধরনের নগরীয় স্থানীয় সরকার থাকবে, তা করতে গিয়ে বর্তমানে দুই ধরনের নাম, দুই ধরনের আইন ও দুই ধরনের ব্যবস্থা অপ্রয়োজনীয় বলে বিলুপ্ত হবে। এখানে লক্ষ্যণীয়, নগরের আয়তন, সংখ্যা ও জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ ইউনিটগুলোর আয়তন, সংখ্যা ও জনসংখ্যা কমতে থাকবে। গোটা বাংলাদেশ নগরে পরিণত হয়ে যাওয়ার ফলে ২০৫০ সাল নাগাদ গ্রামীণ ইউনিটগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে; ফলে বাংলাদেশ অনেক নগরীয় ইউনিটে বিভক্ত হয়ে পড়বে; তখন স্থানীয় সরকার দুই স্তরবিশিষ্ট-জেলা সরকার ও নগর সরকার হয়ে যাবে; এবং বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা তিন স্তরবিশিষ্ট তথা কেন্দ্রীয় সরকার, জেলা সরকার ও নগর সরকার-হওয়ার মাধ্যমে সরকারের আকার-আয়তন ছোট হয়ে পড়বে। তাই, প্রস্তাবিত স্তরবিন্যাসটি খুবই গতিশীল ও সুদূরপ্রসারী। এটি গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম বলে প্রতীয়মান হয়।

স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ ইউনিট-ইউনিয়ন সরকার ও নগর সরকার : স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ ইউনিট যথার্থভাবে নির্ধারিত না হওয়ায় এক ধরনের মারাত্মক ধারণাগত বিভ্রান্তি বিরাজমান রয়েছে। পূর্বে ইউনিয়নের নিচে অন্য কোনো ইউনিটকে (গ্রাম সরকার, পল্লী পরিষদ, গ্রাম সভা ইত্যাদি) স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ ইউনিট মনে করা হতো এবং বর্তমানে ইউনিয়নকে গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ ইউনিট মনে করা হয়। কেউ কেউ পৌরসভাকে নগরীয় স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ ইউনিট মনে করেন (এখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ প্রদর্শিত রেখচিত্র উদাহরণ হতে পারে। তারা যুক্তি দেখান, যেহেতু ইউনিয়ন উপজেলার অধীনে ঠিক নিচে অবস্থান করছে সেজন্য ইউনিয়ন হলো গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ ইউনিট। যদি তাদেরকে পাল্টা প্রশ্ন করা যায়, পৌরসভাগুলো কি সিটি করপোরেশনগুলোর অধীনে আছে? সেক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হলো-স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ ইউনিট একটি নয়; সর্বনি¤œ ইউনিট হতে হবে দুটি-ইউনিয়ন ও নগর (পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন), অর্থাৎ ইউনিয়ন সরকার ও নগর সরকার। নগর বলতে দেশের ৩১৯টি পৌরসভা ও ১১টি নগর করপোরেশনকে বোঝানো হয়েছে। তৃণমূলে ইউনিয়ন ও নগর পাশাপাশি অবস্থিত দুটি স্থানীয় ইউনিট এবং ভৌগোলিকভাবে পৃথক ও ভিন্ন ধরনের দুটি স্থানীয় প্রশাসনিক ইউনিট। তাই স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ ইউনিট হিসেবে একদিকে গ্রামীণ এলাকায় থাকবে ইউনিয়ন সরকার এবং অপরদিকে নগরীয় এলাকায় থাকবে নগর সরকারগুলো। গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের রূপরেখায় উপস্থাপিত ইউনিয়ন সরকারের রূপরেখা ও নগর সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ ইউনিটদ্বয় অবশ্যই গঠন করতে হবে। গ্রামীণ এলাকায় ইউনিয়নের নিচে আর কোনো প্রশাসনিক ইউনিটের প্রয়োজনীয়তা না থাকা সত্ত্বেও অতীতে স্বনির্ভর গ্রাম সরকার, পল্লী পরিষদ, গ্রাম সভা, গ্রাম পরিষদ, গ্রাম সরকার ইত্যাদি নামে আরেকটি স্থানীয় সরকার ইউনিট স্থাপন করা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে দেশের কোটি কোটি টাকা ও মূল্যবান সময় অপচয় করা হয়েছে, এবং তা করতে গিয়ে ইউনিয়নকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে অথচ তারা ভেবে দেখেননি, ইউনিয়ন কার্যকর হওয়া মানেই গ্রাম, পাড়া ও ওয়ার্ড কার্যকর হয়ে যাওয়া। আবার স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ ইউনিট-বিভাগ অথবা জেলা-গঠন ও কার্যকর করার ওপর জোর না দিয়ে মধ্যবর্তী ইউনিট হিসেবে উপজেলার ওপর অতিমাত্রায় জোর দিতে গিয়েও ইউনিয়নকে অবহেলিত ও দুর্বলতম প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। অনুরূপ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বর্তমানে ‘ওয়ার্ড সভা’ নামে আরেকটি অপ্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান কার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের স্বার্থে এসব অপ্রয়োজনীয় তৎপরতা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে হয়। তাই আমাদেরকে ‘ইউনিয়নে ইউনিয়নে গণতন্ত্রায়ন, ইউনিয়নের জনগণের ক্ষমতায়ন’ এবং ‘নগরে নগরে গণতন্ত্রায়ন, নগরের জনগণের ক্ষমতায়ন’ স্লোগানদ্বয়ের ভিতরগত তাৎপর্য উপলব্ধি করে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হতে হবে।

লেখকবৃন্দ : প্রভিসি, বিউপি, অধ্যক্ষ, শেরপুর সরকারি কলেজ ও সদস্য, সিডিএজি

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist