reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩০ জুন, ২০১৯

অলিকে ফোনে কি বললেন মির্জা ফখরুল?

বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১৮ দফা দাবিতে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ ঘোষণার পর রোববার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) অলি আহমদকে ফোন দিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অলি আহমদ বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমার (অলি) বাসায় আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মহাসচিবের স্ত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজ আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। আগামীকাল সোমবার আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকার বাইরে জাতীয় মুক্তি মঞ্চের মিটিং থাকায় এদিন চট্টগ্রামে থাকব। তাই বিএনপি মহাসচিবকে বলেছি, চট্টগ্রাম থেকে ফিরে আসার পর কথা হবে।’

গত বৃহস্পতিবার অলি আহমদ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ ঘোষণা করেন। তারপর থেকে অলি আহমদকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ বলতে থাকেন, বিএনপির ব্যর্থতার জায়গা থেকে শুরু করে অলি আহমদ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের নেতা হতে চান। কেউ কেউ বলছেন, তিনি ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাবেন।

এ বিষয়ে অলি আহমদ বলেন, ‘আমি তো কারও মুখে তালা লাগাইতে পারব না। যে যেভাবে চিন্তা করে তার মাথার ভেতরে প্রবেশ করার অধিকার তো আমার নেই। সুতরাং যার যত জ্ঞান, সে সেভাবে চিন্তা করে। চিন্তায় তো বাধা দেওয়া ঠিক না। আমরা সবার মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী। তবে আমি যা করব একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের মঙ্গলের জন্য করব।’

এদিকে নতুন প্লাটফর্ম ঘোষণার পর অলি আহমদের নেতৃত্বে আগামীকাল সোমবার বিকেলে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে প্রথম মিটিং আয়োজন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এই মিটিং হবে। জানতে চাইলে অলি আহমদ বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবকে বলেছি, এই অনুষ্ঠানে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে।’

জাতীয় মুক্ত মঞ্চ ঘোষণা করতে গিয়ে লিখিত বক্তব্যে এলপিডি সভাপতি অলি আহমদ বলেন, ‘বিএনপি বড় ইস্যু পেয়েও আন্দোলন করতে পারেনি। কারণ আমাদের মধ্যে অনেকে অবৈধ পন্থায় উপার্জিত ধন-সম্পদ রক্ষা করার জন্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে কাজ করছি। সরকার বিএনপির এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ২০১৪ সালে সুকৌশলে দালালদের মাধ্যমে বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচন থেকে দুরে সরিয়ে রাখে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে বিনা ভোটে সংসদ এবং সরকার গঠন করে। অনুরুপভাবে ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে আওয়ামী লীগ ব্যালট বাক্স ভর্তি করে শতভাগ ফলাফল নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়। মূলত ৩০ ডিসেম্বর কোনো ভোট হয়নি। বিরোধী দলের প্রার্থী ও হাজার হাজার নেতাকমকর্মীদের গেপ্তার করা হয়। মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ সারা দেশে ভয়ানক ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করা হয়, যা ১৯৭১ সালকেও হার মানায়।’

এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অলি আহমদ তো ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক। তিনি জোটেই আছেন। জোটের কর্মসূচি নেই বলেই তিনি জাতীয় মুক্তি মঞ্চ গঠন করেছেন। আমরা এই মঞ্চে ক্রমান্বয়ে ডান, বাম সকলকেই সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করব।’

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অলি,মির্জা ফখরুল,ফোন,জাতীয় মুক্তি মঞ্চ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close