জুবায়ের চৌধুরী

  ২৭ অক্টোবর, ২০১৮

নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু বুধবার থেকে

পারদ চড়ছে রাজনীতিতে

চলতি সপ্তাহেই দেশের নির্বাচনী রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবর্তন আসছে। এরই মধ্যে রাজনীতির জোট-মহাজোটে সেই পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। দিন যত যাচ্ছে ভোটের রাজনীতিতে নেতাদের অবস্থান তত স্পষ্ট হচ্ছে। ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হবে ৩১ অক্টোবর থেকেই। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট ঘিরে বিভিন্ন জোটে ভিড়ছেন নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিগুলোকে একত্রিত করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করার জোর প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা দলীয় যোগ্য প্রার্থী বাছাইসহ শরিক দলগুলোকে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারেও আওয়ামী লীগ কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ইতোমধ্যে ১/১১র সময়ে ‘সংস্কারপন্থি’ হিসেবে চিহ্নিত নেতাদের দলে ভেড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আবার দলত্যাগী অনেক নেতা নতুন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হতেও দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলনে মাঠে নেমেছে। শুরুতেই যে হোঁচট তারা খেয়েছে তা কাটিয়ে ওঠারও চেষ্টা চলছে।

এদিকে ভোটের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছে বামদের নিয়ে গঠিত ৮ দলীয় জোট এবং ইসলামী দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ১৬ দলীয় জোটও। নির্বাচনী মিছিলে শামিল হতে ছোট-বড় বিভিন্ন জোট গঠিত হচ্ছে। বামজোটটি আওয়ামী লীগের মহাজোটে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। তারা ঐক্যফ্রন্টের দিকেই ঝুঁকে আছে। আর ১৬ দলীয় ইসলামী জোটটি হয়তো শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটেই থাকছে। দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল যে, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মহাজোটেই যোগ দিচ্ছে।

কিন্তু সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার দাবিগুলোই তার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। আর কয়েক বছর আগে বিএনপি থেকে অবসর নেওয়া প্রবীণ রাজনীতিক শমসের মবিন চৌধুরী গতকাল বিকল্পধারায় যোগ দিয়ে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। এ ছাড়া ছাত্রদলের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি গোলাম সারোয়ার এবং এরশাদ সরকারের সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদও যোগ দিয়েছেন বিকল্পধারায়। তবে রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। তাই এখনই সব বলা যাচ্ছে না। রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি হচ্ছে। সবই হচ্ছে একাদশ নির্বাচনের ভোট ঘিরে।

বর্তমান দশম জাতীয় সংসদের চলতি শেষ অধিবেশনের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে আগামী সোমবার। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আর অধিবেশন বসছে না। একই সঙ্গে ‘মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে’— সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংবিধানে থাকা এই বিধান অনুযায়ী সেই ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৩১ অক্টোবর বুধবার থেকে।

সংবিধান অনুযায়ী একটি সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। সংসদ অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবস থেকে এই পাঁচ বছর মেয়াদ গণনা শুরু হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশন বসেছিল ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি। সেই হিসাবে বর্তমান দশম সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৮ জানুয়ারি। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে হলে সংসদের মেয়াদ পূরণের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সাংবিধানিক এই হিসাব অনুযায়ী, ২৮ জানুয়ারির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হবে আগামী ৩১ অক্টোবর।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৩০ জুন সংসদে গৃহীত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যেও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্পের কথাও বলা আছে।

আগামী সোমবার চলতি অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে, নাকি মুলতবি করা হবে— এ নিয়ে কারো কারো মধ্যে একাধিক মত দেখা দেয়। এ ব্যাপারে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘এ ক্ষেত্রে সংসদ মুলতবি রাখা যায় না। চলতি অধিবেশন সোমবার শেষ হচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আর অধিবেশন ডাকার দরকার হবে না। একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তবে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর কিংবা নির্বাচনকালীন সময়ে ৬০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকার ক্ষেত্রে সাংবিধানিক এই বাধ্যবাধকতা নেই।’

গত রোববার শুরু হওয়া ২৩তম অধিবেশনটি বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকেও এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বৈঠকে এই সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছিল যে, প্রয়োজন মনে করলে স্পিকার অধিবেশনের মেয়াদ বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। স্পিকার নিজ ক্ষমতাবলে অধিবেশনের মেয়াদ আগামী সোমবার পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। তাই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিল পাস করানোর জন্য আজ শনিবার অধিবেশন বসবে। তবে সোমবারের মধ্যে সব বিল পাস করা হবে।

বিএনপির ‘সংস্কারপন্থি’ ১১ নেতাকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান : নির্বাচন সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করার জন্য ১/১১র সময় ‘সংস্কারপন্থি’ হিসেবে পরিচিত ও নিষ্ক্রিয় সাবেক নেতাদের সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার সাবেক ১১ এমপির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সক্রিয় হয়ে বিএনপির সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দলীয় সূত্র জানায়, কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে শিগগিরই চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। মাঠের আন্দোলনে নামার আগে সবাইকে নিয়ে শক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায় দলটি। এরই অংশ হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের হাত ধরে দলে ফিরলেন ১১ নেতা। বিএনপিতে ফিরে আসা নেতারা হলেন সাবেক মন্ত্রী আলমগীর কবির, সাবেক হুইপ আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান, আবু হেনা, জিএম সিরাজ, সর্দার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, নজির হোসেন, জিয়াউল হক, আতাউর রহমান আঙ্গুর, ইলেন ভুট্টো, শফিকুল ইসলাম তালুকদার, শহিদুল আলম তালুকদার ও জহির উদ্দিন স্বপন। প্রথম ধাপে ১১ জনকে ফিরিয়ে নেওয়ার পেছনে কাজ করেছেন সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন। আর এসবই হচ্ছে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার ইচ্ছা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণেই।

বিকল্পধারায় মেরুকরণ : গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বাড্ডায় এক অনুষ্ঠানে দলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে বিকল্পধারায় যোগ দিয়েছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তার সঙ্গে ছাত্রদলের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি গোলাম সারোয়ার এবং এরশাদ সরকারের সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদও আছেন। এর আগে ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে বিকল্পধারায় যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা। আর গতকাল ২০ দল ছেড়ে আসা লেবার পার্টির একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদীও যোগ দিয়েছেন বিকল্পধারায়।

উজ্জীবিত ঐক্যফ্রন্ট, বাড়ছে পরিধিও : রাজপথের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে সিলেটে সমাবেশ করেই আশাবাদী হয়ে উঠেছে নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সমাবেশ সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছিল তার পরও সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে অভিভূত ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ফ্রন্ট নেতারা মনে করেন, সিলেটের সমাবেশে বিপুল জনসমাগম দেখে সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। আর তাই চট্টগ্রামে ফ্রন্টের সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি শুরু করেছে। ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শিগগিরই দেশের জনগণ ফ্রন্টের ছায়াতলে সমাবেত হবে। সামনের দিনগুলোতে ফ্রন্টের পরিধি বাড়বে। সরকার ফ্রন্টের সাত দফা দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে। অন্যথায় সরকারের বিরুদ্ধে দেশে গণঅভ্যুত্থান হবে।

এদিকে সিলেটের সমাবেশ সফল করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। কিন্তু ওই সমাবেশে বক্তৃতায় ফ্রন্ট আহ্বায়ক ড. কামাল একবারের জন্যও খালেদা জিয়া কিংবা তার ছেলে তারেক রহমানের বিষয়ে টুঁ শব্দ করেননি। উপরন্তু তিনি বঙ্গবন্ধুকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছেন। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে সভাশেষে বিএনপির নেতাদের তোপের মুখে পড়েন ড. কামাল। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সমাবেশে গণফোরাম কিংবা ড. কামালের চেহারা দেখতে কেউ আসেনি, সবাই বিএনপির সমাবেশেই এসেছে। যদিও বিএনপি মহাসচিবের মধ্যস্থতায় ড. কামাল ‘দুঃখ প্রকাশ’ করলে আপাতদৃষ্টিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। তবে এ ঘটনা নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে শীতল স্নায়ুযুদ্ধ চলছে।

আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, শেষ পর্যন্ত ড. কামাল কি বিএনপি-জামায়াতের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব ধরে রাখতে পারবেন? কারণ তিনি এখনো বঙ্গবন্ধুকেই নেতা মানেন। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে দেওয়া রাজনৈতিক শক্তির নেতৃত্বে ড. কামাল হোসেন টিকে থাকতে পারলে সেটা হবে আগামী রাজনীতির নতুন পাঠ। বিএনপি-জামায়াতের সভায় বসে তিনি বঙ্গবন্ধুর জয়গান গাইবেন— এটা বিএনপির নেতাকর্মীরাইবা কতক্ষণ দাঁত কামড়ে সহ্য করবেন? এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। বৈঠকে ড. কামাল বঙ্গবীরকে ফ্রন্টে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। বঙ্গবীরও শিগগিরই ফ্রন্টে যোগ দেবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এদিকে গতকাল শুক্রবার গণভবনে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও পার্লামেন্টারি পার্টির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার ধারাবাহিক জয় নিশ্চিত করতে দলের জন্য কীভাবে কাজ করতে হবে, নেতাদের সেই গাইডলাইন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে নানা গুরুত্বপূর্ণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকা- জনগণের সামনে তুলে ধরতে নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

সভায় উপস্থিত নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘিরে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে সবাইকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কঠোর নির্দেশও দেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে জোটের স্বার্থে ছাড় দেওয়ার প্রস্তুতি রাখার বিষয়টিও জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

কেউ দলের বিরুদ্ধে গেলে তার দলে কোনো স্থান হবে না— এমন হুশিয়ারিও দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া ইশতেহার তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। প্রচার কৌশলও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এ বিষয়গুলো সবার সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচন ঘিরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নামে নতুন করে রাজনৈতিক খেলা শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে সজাগ ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার যা যা করেছে, সেসব উল্লেখ করে একটি লিফলেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই সারা দেশে এ লিফলেট বিলির কাজ শুরু করবেন দলের মেয়েরা।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাজনীতি,আ.লীগ,বিএনপি,ঐক্যফ্রন্ট,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close