‘পাসপোর্ট পাওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন তারেক’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান লন্ডনে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াই বসবাস করছেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি)। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, তারেক রহমান আদালতে দণ্ডিত হওয়ায় পাসপোর্ট আদেশ, ১৯৭৩ অনুযায়ী তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন বলে জানায় ডিআইপি।
অন্যদিকে তারেক যদি পাসপোর্টের আবেদন করতে চান, তবে তাকে দেশে ফিরতে হবে। এ কথা বলেছেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাসুদ রেজোয়ান।
বৃহস্পতিবার পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় বলেন, ২০১৪ সালে তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি নবায়নের আবেদন করেননি। তারেক রহমান এখন আবেদন করলেও তার পাসপোর্ট পাওয়ার সুযোগ নেই।
এর আইনি ভিত্তি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সালের পাসপোর্ট আদেশে বলা আছে যেকোনো আবেদনকারী দরখাস্ত পেশ করার তারিখ থেকে পূর্বের পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের যেকোনো আদালত দ্বারা নৈতিক স্খলনজনিত কারণে যদি দুই বছরের কারদণ্ড হয় তাহলে সে পাসপোর্ট পাবে না।’
তারেক রহমানের পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব বিতর্কের মধ্যেই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি আরও বলেন, দুই ধরনের ব্যক্তিকে পাসপোর্ট দেওয়া হয় না। এক হলো আবেদন করার বছরের পাঁচ বছর আগে যদি তিনি দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হন। আর গ্রেফতার এড়াতে পলাতক অবস্থায় কেউ যদি থাকেন, তবে তার আবেদনও গৃহীত হয় না।
তারেক রহমানের নাগরিকত্ব এবং পাসপোর্ট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সম্প্রতি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। তিনি পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর গত সোমবার লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারকে আইনি নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন। নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে শাহরিয়ার আলম জাতির কাছে বা তার কাছে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পিডিএসও/তাজ