সম্রাটের আরও ২ বাসায় অভিযানে র্যাব
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের ভাই বাদলের বাসায় এবার অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রোববার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর শান্তিনগরের এই বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাবের অপর একটি দল। একই সময়ে র্যাবের আরেকটি দল অভিযান চালাচ্ছে সম্রাটের মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসের বাসায়।
জানা গেছে, ১৩৮ এবং ১৩৮/১, ১৩৯ শান্তিনগরের, শেলটেক রহমান ভিলায় ৫ সি ফ্ল্যাটটির মালিক যুবলীগ নেতা সম্রাট। তবে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে সম্রাটের ভাই এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা আর এই ফ্ল্যাটে থাকেন না।
এদিকে, মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসের ২৯ নম্বর রোডে সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরীর বাসায়ও অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। সম্রাটের দ্বিতীয় পক্ষে এক ছেলে রয়েছে। তিনি মালয়েশিয়ায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
সম্রাট মহাখালীতে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় স্থায়ীভাবে থাকতেন। তবে দুই বছর ধরে তিনি বাসায় যেতেন না। কাকরাইলে নিজের কার্যালয়ে থাকতেন বলে জানা গেছে।
এর আগে রোববার দুপুর দেড়টার পর সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলে তার অফিসে অভিযানে যায় র্যাব। সম্রাটকে নিয়ে তার কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন র্যাব সদস্যরা।
রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের ঢাকায় আনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার জানান, সম্রাটের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া তার সহযোগী আরমানকেও ঢাকায় আনা হয়েছে। ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করেছে র্যাব।
তবে কোন থানার কোন মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মোস্তফা সরোয়ার।
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যেই তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর শনিবার রাত থেকে তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবর আসলেও রোববার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংগঠনের নেতাকর্মী নিয়ে নিজ কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন সম্রাট। পরে তার আর খোঁজ মিলছিল না।
পিডিএসও/রি.মা