reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৬ আগস্ট, ২০১৯

আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ১৯৭৫ সালের আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা|

শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। জিয়াউর রহমানও খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছিল।’

১৫ আগস্টের সেই ভয়াল স্মৃতিকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমরা মনে করি এটা আমাদের দুর্ভাগ্য ছিল। আমি দেশ ছেড়ে গিয়েছিলাম দুটি বাচ্চাকে নিয়ে আর রেহানাকে (বোন শেখ রেহানা) সঙ্গে নিয়ে স্বামীর কর্মস্থলে। আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম, সেই বাঁচাটা বাঁচা না। সেই বাঁচার যন্ত্রণাটা মৃত্যু থেকে অনেক বেশি। ৬ বছর দেশে আসতে পারেনি। অন্য দেশে রিফিউজি হয়ে আশ্রয় নিয়ে থাকতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আওয়ামী লীগের কাছে। আমাকে প্রথম যখন নির্বাচিত করল, আমি তখন গ্রহণ করতে পারি নাই। কাজ করেছি, থেমে থাকিনি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এক বছরে বাংলাদেশে এক ফোঁটা ফসল উৎপাদন হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের জন্য অন্য কোনো পথ ছিল না। সকল শিল্প-কলকারখানা বন্ধ ছিল। গ্রামের পর গ্রাম শুধু ধ্বংস, জ্বালানো, পোড়ানো ছিল। লাশের পর লাশ, নদীর পানি লাল হয়ে গিয়েছিল বাঙালির রক্তে।

সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপের পর দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলা গড়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি ফিরে এসে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা দায়িত্ব নিলেন। একদিকে ধ্বংসস্তূপকে সরিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ, অন্যদিকে পাকিস্তানের একটি প্রদেশকে একটি নতুন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কঠিন কাজ করার জন্য মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন তিনি। আর এই সাড়ে তিন বছরেই তিনি তা করে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনে আমি শুধু এটুকুই বলব, যে শোক-ব্যথা বুকে নিয়েও এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি। শুধু আমার বাবার কথা চিন্তা করে। তিনি জীবনের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন এই দেশের জন্য।

আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন।

আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আব্দুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রধানমন্ত্রী,জাতীয় শোক দিবস,বঙ্গবন্ধু
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close