নিজস্ব প্রতিবেদক
‘সরকার তাবলিগ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না’
বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা মোহাম্মদ সাদের অংশগ্রহণ নিয়ে তাবলিগ জামাতের মধ্যকার বিরোধ ইস্যুতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে চায় না সরকার। তাবলিগের মুরব্বিরাই এর সমাধান করুক—এমনটাই চায় সরকার। গতকাল বুধবার তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থানের কথা তুলে ধরে এ কথা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, মাওলানা সাদের আগমন নিয়ে তাবলিগ জামাতে দুটি ধারা দেখা যাচ্ছে। এক অংশ চায় তিনি যেন ইজতেমায় অংশ নেন। অপর অংশ চায় যেকোনো মূল্যেই হোক তার অংশগ্রহণ ঠেকাতে। এটি হচ্ছে তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এ বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা চাই তাবলিগ জামাতের মুরব্বিরাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এর শান্তিপূর্ণ সমাধান করবেন।
একই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণই তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাবলিগ জামাতের ওপর সরকারের কোনো ধরনের কর্তৃত্ব নেই। তারপরও এ তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে টঙ্গীতে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অংশগ্রহণে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এ ইজতেমার সঙ্গে দেশের ভাব-মর্যাদা জড়িত। এ কারণেই আমরা চাই এ বিষয়টি নিয়ে যেন আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। মুরব্বিরা যেন নিজেরাই বসে এর সম্মানজনক সমাধান করেন।
তাবলিগ জামাতের দিল্লি মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্যকে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন আকিদা ও নীতি পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেই তাবলিগ জামাত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। টঙ্গীতে অনুষ্ঠেয় ইজতেমায় মাওলানা সাদের আগমনের বিষয়ে দুই পক্ষই শক্ত অবস্থান নেয়। এতে পরিস্থিত আরো জটিল হয়ে পড়ে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মাওলানা মোহাম্মদ সাদ তাবলিগ জামাতে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন, এমন বক্তব্য দিয়ে গতকাল সকাল ১০টা থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের প্রধান পথে বিক্ষোভ-সমাবেশে অভিযোগ করে বিক্ষুব্ধরা। তাবলিগ জামাতের সৃষ্ট বিরোধকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে উল্লেখ করে ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নেয়। এর সঙ্গে ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতি জড়িত। এ সংগঠনে বিরোধ সৃষ্টির বিষয়টি দুঃখজনক ও অনাকাক্সিক্ষত। এর সমাধান তাবলিগের মুরুব্বিরাই নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করবেন, এটাও আমরা প্রত্যাশা করি।
পিডিএসও/তাজ