দুশ্চিন্তা ঝেড়ে মনের যত্ন নিন
শরীরকে ভালো রাখতে যেমন যত্ন প্রয়োজন, তেমনি আপনার মনকে ভালো রাখতেও চাই নিয়মিত যত্ন। মনকে অবহেলা করে কখনো পরিপূর্ণভাবে ভালো থাকা সম্ভব নয়। মনের যত্ন নেয়ার কিছু উপায় আছে। দুশ্চিন্তাকে সময় না দিলে এটি আপনাকে দিনভর গ্রাস করতেই থাকবে। তাই দুশ্চিন্তা করার জন্য সময় দিন। তবে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের বেশি নয়। এরপর থামুন। এবার চিন্তা করুন—কিভাবে এর থেকে বেরিয়ে আসবেন।
ধ্যান বা মেডিটেশন : মনের যত্নে ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। এটি মনকে ভালো ও নিয়ন্ত্রণে রাখে, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমায়। যেটি আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, সেটি নিয়ে চিন্তা করবেন না। যেতে দিন। এটা হতে পারে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বা আপনার দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে। যদিও এই ‘যেতে দেয়া বা ছেড়ে দেয়া’ বিষয়টি কঠিন। তবে নিয়মিত এর চর্চা করলে দেখবেন আপনিও পারছেন। আপনারও হালকা লাগছে। ইতিবাচক বই পড়ুন। দেখুন, বড় বড় মানুষ কিভাবে জীবনে নিজেদের চাপ সামলেছেন।
ব্যায়াম করুন : মন ভালো রাখতে ব্যায়াম করতে পারেন, করতে পারেন কিছু যোগব্যায়ামও। নিয়মিত হাঁটা মানসিক চাপকে কমাতে সাহায্য করে। এতে মন ভালো থাকে। আমাদের চিন্তার অধিকাংশটাই জুড়ে থাকে নেতিবাচক চিন্তা আর দুশ্চিন্তা। তাই ভালো ভাবনাগুলোকে আমরা কাজে লাগাতে পারি না। ভালো ভাবনাকে কাজে লাগান। ইতিবাচক চিন্তা করুন। মানুষ বাঁচে আশা বা স্বপ্নের মধ্য দিয়ে। নিজেকে ভালোবাসুন। ভালোবাসুন অন্যকেও। বেড়াতে যাওয়া, গান শোনা, গান গাওয়া, বই পড়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো—প্রিয় কাজগুলো করুন। এগুলো মনের খোরাক জোগাতে কাজ করবে। মনকে ভালো এবং চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে।
সামাজিকতা : একাকিত্ব- মানসিক চাপ ও হতাশা বাড়িয়ে তোলে। তাই পরিবার ও বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করতে হবে। বন্ধু বা আপন কারও সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলাপ করলে সমস্যা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা অনেকটাই কমে আসে।
পর্যাপ্ত ঘুম : ঘুম শরীরের বিশ্রামের পাশাপাশি মানসিকভাবেও শান্তি দেয়। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক সব অগোছালো চিন্তাকে গুছিয়ে নিতে সাহায্য করে। তাই হতাশা কমাতে ভালো মতো ঘুমানো দরকার।
পিডিএসও/তাজ