সম্পর্ক মধুর করবে যেসব গুণ
আমাদের জীবনটা নানা ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। তাই অনেক সম্পর্কে দেখা যায় একজনের ভুলের কারণে সেটা তিক্ত হয়ে উঠে, এমনকি সম্পর্কটা ভেঙে যায়। যেটা কখনই কাম্য নয়। সুতরাং সম্পর্ক মধুর ও টেকসই রাখতে একজনের ভূমিকা থাকলে হবে না, এতে দুজনেরই ভূমিকা থাকতে হবে। তাই জেনে নিন— এমন কিছু গুণ যা আপনাদের সম্পর্ককে সব সময় মধুর করবে।
বিশ্বাস রাখা : সম্পর্ককে মধুর রাখতে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের কারণে সম্পর্কে তৈরি হয় টানাপোড়ন। সম্পর্কের মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। তাই একে অপরের প্রতি অটুট বিশ্বাস আপানাদের সম্পর্কে আনবে মধুরতা।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সঙ্গে থাকা : প্রতিকূল পরিস্থিতে দুজন দুজনের পাশে থাকা আবশ্যক। যে আপনাকে ভালোবাসে সে সবসময় আপনাকে নানা প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করবে। আপনাকে নিয়ে কেউ মজা করলে বা হাসাহাসি করলে সে তাতে অংশ নেবে না, বরং প্রতিবাদ করবে আপনাকে রক্ষা করবে। এক্ষেত্রে আপনিও তার এ রকম পরিস্থিতিতে সে সাহায্য না চাইলেও নিজের থেকে এগিয়ে আসবেন। এতে আপনাদের দু’জনের সম্পর্ক মধুর রাখতে বেশ সহায়তা করবে।
উভয়ের পরিবারকে সম্মান : আপনি যাকে ভালোবাসেন সে আপনার পরিবারের প্রতি সম্মান দেখাবে তো বটেই। তাই আপনারও উচিত তার পরিবারকে সম্মান ও গুরুত্ব দেওয়া। সে আপনার বাবা-মা ভাই-বোন কিংবা অন্য সদস্যদের সামনে যদি কথা বলতে হয় তাহলে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেই বলবে। তাহলে সেও আপনার উপর খুশি হবে, আপনিও তার উপর খুশি হবেন।
খুঁত ধরা বন্ধ করা : আপনার সঙ্গীকে যদি ভালোবাসেন তবে তার সকল দোষ ত্রুটি মিলিয়েই তাকে ভালবাসতে হবে। তাহলে সেও আপনার দোষ ত্রুটিকে মিলিয়ে নিবে। কোনো মানুষের পক্ষেই পারফেক্ট হওয়া সম্ভব নয়। আপনার সঙ্গীর মধ্যেও খুঁত থাকতে পারে। কিন্তু আপনি সেই খুঁত নিয়ে কি করবেন তার ওপরেই কিছু সম্পর্ক নির্ভর করে অনেকাংশে। তাই সম্পর্ককে মধুর রাখতে চাইলে ছোট ছোট খুঁত ধরা বন্ধ করেন।
মানসিকতা বুঝা : অনেক সম্পর্কে দেখা যায়, যারা একে অপরকে বোঝেন না কিন্তু সামাজিকতার ভয়ে তিক্ত সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসতেও পারেন না। সঙ্গীর মানসিকতা বোঝা একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য অনেক বেশি জরুরি। আপনার সঙ্গী আপনার সাথে কিছু নিয়ে রাগারাগি করলেন কিংবা মন খারাপ করলেন এখন্আপনি যদি তাকে না বুঝে তার মানসিকতা না বুঝে উল্টো আপনিও একই কাজ করেন। তবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তাই একে অপরের মানসিকতা বুঝে কাজ করতে হবে।
পিডিএসও/তাজ