শুভ জন্মদিন তাজউদ্দীন আহমেদ
দেশ মাতার তখন চরম দুঃসময়। নির্বিচারে মানুষ মারছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। জাতির পিতা কারাগারে। দুঃসময়ের হাল কে ধরবে এই নিয়ে যখন সবাই দ্বিধাগ্রস্থ তখন একজন মানুষ বুক চিতিয়ে দাঁড়ালেন। সুদক্ষ সেনাপতির মত নেতৃত্ব দিতে লাগলেন সামনে থেকে। অথৈ জলে হাবুডুবু খেতে থাকা জাতিটা কূলের দেখা পেল। প্রবল ঝড়ে দক্ষ মাঝির মত যুদ্ধরত দেশটাকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিতে থাকলেন তীরের দিকে। হ্যাঁ, বলছিলাম বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের কথা।
তাজউদ্দীন আহমেদ। জন্ম ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই। গাজীপুরের অন্তর্গত কাপাসিয়া দরদিয়া গ্রামে। পিতা মৌলভী মোঃ ইয়াসিন খান এবং মাতা মেহেরুন্নেসা খান। শিক্ষাজীবনের শুরুটা হয় বাবার কাছে আরবি শিক্ষার মধ্য দিয়ে। শিক্ষাজীবনে তুখোড় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। ম্যাট্রিক ও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ) থেকে অবিভক্ত বাংলায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় যথাক্রমে দ্বাদশ ও চতুর্থ স্থান লাভ করেন। এরপর ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ (সম্মান) ডিগ্রী লাভ করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের পেছনে যতগুলো মানুষের অবদান আছে তাদের মধ্যে তাজউদ্দিন আহমেদের নাম সামনের সারিতেই থাকবে। পরিবার, পরিজন, স্ত্রী, সন্তানকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে দেশের ডাকে সাড়া দিতে ছুটে বেড়িয়েছেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করলেন, শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলেন, সহযোদ্ধাদের নিয়ে গঠন করলেন মুজিবনগর সরকার। হলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের ৯ টা মাস নিজের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দেশটাকে স্বাধীন করেছেন।
পিডিএসও/রিহাব