উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৫ মার্চ, ২০২৪

কুড়িগ্রামের উলিপুর

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটগ্রহণ

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটগ্রহণ হয়েছে। রবিবার (২৪ মার্চ) থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। এতে প্রস্তাবের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে। এই ফলাফল ঘোষণা করেন অনাস্থা প্রস্তাবের অভিযোগ তদন্তে নিয়োগ পাওয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তারিফুর রহমান সরকার।

জানা যায়, ভোটগ্রহণের পূর্বে তদন্ত কর্মকর্তা থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে ৯ ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত রবিবার পরিষদের হলরুমে তদন্ত নিয়ম অনুসারে প্যানেল চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে তিন ঘণ্টাব্যাপী সকল সদস্যদের নিয়ে বিশেষ সভা করেন। এতে কোন সুরাহা না আসায় নিয়ম অনুযায়ী ব্যালটের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটগ্রহণ হয়। এতে পরিষদের মোট ১২ সদস্যের মধ্যে ১১ জন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে কোন ভোট পড়েনি। চেয়ারম্যানসহ একজন সংরক্ষিত নারী সদস্য ভোট প্রদান করেননি। চেয়ারম্যানসহ মোট ভোট ছিল ১৩টি।

ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা এ বিষয়ে জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এছাড়া তদন্ত কার্যক্রম সঠিকভাবে হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তারিফুর রহমান সরকার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এই ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা হবে।

ইউএনও আতাউর রহমান বলেন, ‘চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এখনও হাতে পাইনি। প্রতিবেদন হাতে পেলেই বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ৯ ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যান ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে টিসিবি কার্ডধারীদের কাছে অন্যায়ভাবে ট্যাক্সের নামে রশিদ দিয়ে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৭০০ টাকা ও রশিদ ছাড়াও নিজস্ব সীল ব্যবহার করে ৩ লাখ টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন। ইউনিয়নে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন বাবদ এক হাজার থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত আদায় করে ২৫০ টাকার রশিদ প্রদান করেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এডিপি প্রকল্পের পিআইসির অধীনে ২ লাখ টাকার ৩৪টি স্প্রে মেশিন বিতরণ করেননি। এছাড়া ভিজিডি চাল, টিআর, কাবিটা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের টাকা আত্মসাৎ, অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব দেন তারা।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রাম,উলিপুর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close