শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

  ১৮ মার্চ, ২০২৪

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল

সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সোমবার সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মবিরতি পালন করেন দলিল লেখকরা। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, দুর্ব্যবহার ও হয়রানির অভিযোগ এনে দলিল লেখকরা দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মবিরতি পালন করেন তারা। অভিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রার হলেন, শংকর কুমার ধর।

সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সদস্য মছদ্দর আলী জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শংকর কুমার ধর সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে এই অফিসে যোগদান করেন। তিনি অফিসে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন দলিলে সরকার নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি এর বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায়, হয়রানি এবং দুর্নীতি করে যাচ্ছেন।

মছদ্দর আলী বলেন, উত্তরাধিকারী দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিছলু আহমেদ চৌধুরীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা আদায় করেন। এ ছাড়া বাটোয়ারা দলিলে রাস্তা উলে¬খ থাকলে সরকারি ফি এর কথা বলে তিমির বনিক নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে কোন প্রকার রশিদ ছাড়া ১ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। একই কায়দায় বাটোয়ারা নামা দলিল রেজিস্ট্রেশন এর জন্য সাংবাদিক ইসমাইল মাহমুদের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান মছদ্দর আলী।

দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সায়েদ আলী বলেন, সাব রেজিস্ট্রার শংকর শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়রের দানকৃত সব চেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে। অনিয়মের সুবিধার্থে খাস কামড়াকে পার্টিশন দিয়ে আলাদা দুটি রুম করেছেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান জানান, সাব-রেজিস্ট্রারকে দ্রুত এখান থেকে না সরালে তারা তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।

সাব-রেজিস্ট্রার শংকর কুমার ধর এ বিষয়ে জানান, তিনি কর্মবিরতির বিষয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তিনি জানান, প্রতিনিয়ত সরকার সার্কুলার পরিবর্তন করছে, প্রতিদিনের সার্কুলার প্রতিদিন দেখে রেভিনিউ আদায়ের লক্ষ্যে তাকে ভূমিকা রাখতে হবে। পরে চেয়াম্যান মিছলু, আব্দুল মতিন ও সাংবাদিক ইসমাইল মাহমুদের আত্মীয় ও তিমিরি বনিকের টাকা কোন রেভিনিউ খাতে জমা দিয়েছেন বলে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। খাস কামড়াকে পার্টিশন করার বিষয়ে তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেননি বলেও জানান।

এ বিষয়ে জানতে মৌলভীবাজার জেলা রেজিস্ট্রার সোহেল রানা মিলন এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মৌলভীবাজার,শ্রীমঙ্গল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close